শুক্রবার, হঠাৎ দুঃসংবাদ আসে। প্রয়াত জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গ। সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করার সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় গায়কের।
সিঙ্গাপুর পুলিশ তাঁকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তড়িঘড়ি আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয় তাঁকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুকালে অসমের এই জনপ্রিয় শিল্পীর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। শোকের ছায়া নেমে আসে সমগ্র বিনোদন জগৎ সহ, গোটা অসমে।
রবিবার অসমে পৌঁছায় গায়কের নিথর দেহ। চোখের জলে ভূমিপুত্রকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন শিল্পীর হাজারো অনুরাগী। মঙ্গলবার জুবিনের শেষকৃত্যেও তেমনই দৃশ্য দেখা গেল। এমনকি হাজির ছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
গত তিন দিন ধরে কার্যত অচল অসম। মঙ্গলবার শিল্পীর শেষকৃত্যের জন্য গুয়াহাটির জাতীয় সড়কেও যান চলাচল বন্ধ ছিল। এদিন ময়নাতদন্তের পর, গুয়াহাটিতে গায়কের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বিদায় জানানো হয় গায়ককে। বাজানো হয় 'মায়াবিনী রাতির বুকুত...দেখা পলু তুমার সাবি...।' চোখে জল উপস্থিত সকলের গলায় শোনা গেল জুবিনের সেই গান।
বছর দুয়েক আগে জুবিন বলেছিলেন যে, তিনি মরলে গোটা অসমজুড়ে বাজবে 'মায়াবিনী রাতির বুকুত' গানটি। সেই ইচ্ছেপূরণ হল। শেষকৃত্যের সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন জুবিনপত্নী গরিমা সাইকিয়া।
সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মন্ত্রী এবং অসম গণপরিষদের (এজিপি) কার্যকরী সভাপতি কেশব মহন্ত জানিয়েছেন, কামারকুচির শেষকৃত্যস্থলে জুবিন গর্গের স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য ১০ বিঘা জমি নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
প্রয়াত গায়কের শেষ স্মৃতি আঁকড়ে রাখতে তাঁর পায়ের ছাপ নিয়ে মোম দিয়ে পাদুকা তৈরি করেছেন শিল্পী দিগন্ত ভারতী। নেটমাধ্যমে ভাইরাল সেই ছবি।
সিঙ্গাপুরের নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যালে ২০ এবং ২১ সেপ্টেম্বর পারফর্ম করার কথা ছিল জুবিনের। কিন্তু তার আগে ১৯ তারিখ তিনি চিরবিদায় জানালেন সকলকে।্ক্লক