scorecardresearch
 

Bidisha Dey Majumdar Mystery Death:বন্ধুদের মুখে জিম ট্রেনার প্রসঙ্গ, বিদিশার সুইসাইড নোট ঘিরেও রহস্য

বুধবার বিকেলে নাগেরবাজারের রামগড় কলোনির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে শহরের এক উঠতি মডেলের ঝুলন্ত দেহ। টেলি অভিনেত্রী পল্লবীর দের মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় এই ঘটনা স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বিদিশা দে মজুমদার নামে ওই মডেলের দেহ ময়নাতদন্তের জানা পাঠান হয়েছে। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে।

Advertisement
বিদিশার সুইসাইড নোটে ক্যান্সারের কথাও বিদিশার সুইসাইড নোটে ক্যান্সারের কথাও
হাইলাইটস
  • প্রেমিকের কারণেই মানসিক অবসাদ!
  • বিদিশার সুইসাইড নোটে ক্যান্সারের কথাও

 বুধবার বিকেলে নাগেরবাজারের রামগড় কলোনির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে শহরের এক উঠতি মডেলের ঝুলন্ত দেহ। টেলি অভিনেত্রী পল্লবীর দের মৃত্যুর ১০ দিনের মাথায় এই ঘটনা স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বিদিশা দে মজুমদার নামে ওই মডেলের দেহ ময়নাতদন্তের জানা পাঠান হয়েছে। তবে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে। কারণ বিদিশার সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। নৈহাটির বাসিন্দা বিদিশা কয়েক মাস আগেই নাগেরবাজারের  রামগড় কলোনিতে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে আসেন। ওই বাড়ির মালিকের এই আত্মীয় দাবি করেছেন সুইসাইড নোটে বিদিশা লিখে গিয়েছেন তিনি ক্যান্সার আক্রান্ত। তবে মৃত্যুর জন্য কারও নাম নেননি তিনি। সকলকেই ভালবাসা জানিয়ে গেছেন।

আরও পড়ুন: অবসাদেই আত্মঘাতী বিদিশা? বাড়ছে রহস্য

মানসিক অবসাদের কথা বলছেন বিদিশার বন্ধুরা
বিদিশার একাধিক বান্ধবীর কথা উঠে আসছে তাঁর মানসিক অবসাদের কথা। ডিপ্রেসনে ভুগছিলেন বিদিশা, দাবি তাঁর বান্ধবীদের। । পুলিশ সূত্রে খবর, গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে বিদিশার দেহ। ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বিদিশার ঘনিষ্ঠ বান্ধবীদের দাবি—সম্পর্কের টানাপড়েন থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বিদিশা। তাঁর এক বান্ধবী বলেন, ‘‘প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে অবসাদে ভুগছিল বিদিশা। সম্পর্ক ভাঙার কথা, আত্মহত্যার কথা আমাকে বলেছিল। বিদিশা বলেছিল, ‘ওকে ছাড়া বাঁচব না। নিজেকে শেষ করে দেব।’’ দাবি করা হচ্ছে এর আগেও দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন মডেল বিদিশা দে মজুমদার। কিন্তু বান্ধবী এবং সহকর্মীদের বাঁধার মুখে পড়ে তিনি আর সেই কাজ করতে পারেননি। জানা যাচ্ছে, মাস কয়েক ধরেই প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে চরম অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। এমনকি  বুধবার ভোর রাত পর্যন্তও বিদিশাকে বোঝানোর চেষ্টা করে তার এক বান্ধবী কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

Advertisement

বিদিশার প্রেমিকের দিকেই নিশানা
বিদিশার মৃত্যুর সময় তাঁর ফোন বন্ধ ছিল না বলেই পরিচিতদের সূত্রে জানা যাচ্ছে। সেদিন বিদিশার মাও তাঁকে অনেকবার ফোন করেন। কিন্তু মেয়ে আর ফোন তোলেনি। বিদিশার ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন ৪-৫ বছর ধরে মডেলিং করতেন তিনি। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম জুড়ে সেই ছবি রয়েছে। বিদিশার প্রেমিকের কথাও উঠে আসছে। তাঁর নাম অনুভব বেরা। অনুভবের সঙ্গে নাকি বিদিশার প্রায়ই বচসা লেগে থাকতো। পেশায় জিম ট্রেনার অনুভব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গেও বিদিশার মৃত্যু নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করছে তদন্তাকারী আধিকারিকরা। বিদিশার বন্ধুরা অনুভবের কারণে তাঁর মানসিক অবসাদের কথা বলছে। 
অনুভবের সঙ্গে বিদিশার ৫ মাসের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু এখন এই সম্পর্ক রাখতে চায় নি অনুভব। তাঁর বক্তব্য, বিদিশার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। কখনো বিদিশাকে ভালোবাসতো না।’

সত্যিই ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন বিদিশা?
সুইসাইড নোটে কিছু জানিয়ে যাননি উচতি মডেল বিদিশা দে মজুমদার। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর জন্য তিনিটি কারণ উঠে আসছে। পেশাগত, স্বাস্থ্যগত ও অবসাদ। সুইসাইড নোটে ক্যান্সারের কথা লিখলেও তাঁর ঘনিষ্ঠরা সেই বিষয়ে জানেন না। প্রেমিকের কারণে অবসাদের কথা বলছেন বিদিশার বান্ধবীরা। এছাড়া উঠে আসছে পেশাগত কারণও। ঘনিষ্ঠদের দাবি, আরও বেশি কাজ চেয়েছিলেন মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদার। কাছের বন্ধু-বান্ধবদের ডিপ্রেশনে ভুগছেন বলে নিজেই জানিয়েছিলেন। যে মডেলিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতেন বিদিশা, এই মাসের শুরু থেকে সেখানে যাওয়া অনিয়মিত হয়ে যায়। বন্ধুদের সঙ্গে একাধিকবার সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা বলতেন। 

 পেশাগত অনিশ্চয়তা, ডিপ্রেশন, নাকি অন্য কোনও টানাপোড়েন, কী কারণে মৃত্যু হল বিদিশা দে মজুমদারের? উঠছে একের পর এক প্রশ্ন। রহস্যের জট খুলতে বিদিশার কললিস্ট ও চ্যাট খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিদিশার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায়  বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খাটের তলা থেকে মিলেছে দুটি মোবাইল ফোন। সেই দুটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
 

Advertisement