প্রয়াত বলিউডের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী ভূপিন্দর সিং (Bhupinder Singh)। ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ভূপিন্দর সিংয়ের প্রয়াণের কথা জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী তথা সঙ্গীত শিল্পী মিতালি সিং (Mitali Singh)। তিনি জানান, শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন ভূপিন্দর। ছিল প্রস্রাবের সমস্যাও। প্রবাদপ্রতীম এই শিল্পীর প্রয়াণে শোকের ছায়া গোটা বলিউডে। শোকস্তব্ধ তাঁর ভক্তরাও।
ভূপিন্দর সিংয়ের সেরা গানগুলি
ভূপিন্দর সিং মৌসম, সত্তে পে সত্তা, আহিস্তা আহিস্তা, দুরিয়া এবং হকিকত-সহ বহু ছবিতে গান গেয়েছেন। তাঁর বিখ্যাত গানগুলোর মধ্যে রয়েছে 'মেরা রঙ দে বসন্তি চোলা', 'প্যায়ার হামে কিস মোড় পে লে আয়া', 'হুজুর ইস কদর', 'এক আকেলা ইস শহর মে', 'জিন্দেগি মিলকে বিতায়েঙ্গে', 'বিতি না বিতায়ে ব়্যায়না', 'নাম গুম যায়েগা'।
ঘৃণা করতেন সঙ্গীতকে
বলিউডের প্লেব্যাক সিঙ্গিংয়ের পাশাপাশি একজন গজল শিল্পীও ছিলেন ভূপিন্দর সিং। ১৯৪০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর পিতা অধ্যাপক নাথ সিংজি ছিলেন একজন কণ্ঠশিল্পী। বাবাই ভূপিন্দরকে সঙ্গীতেপ শিক্ষা দেন। তাঁর বাবা খুব কড়া ধাঁচের শিক্ষক ছিলেন। তাই এহেন পরিস্থিতে একসময় সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্রকে ঘৃণা করতেন ভূপিন্দর।
যেভাবে সুযোগ পেলেন বলিউডে
কেরিয়ারের শুরুতে ভূপিন্দর সিং দিল্লির অল ইন্ডিয়া রেডিওতে অনুষ্ঠান করতেন। তিনি গিটার এবং বেহালাও বাজাতেন। ১৯৬২ সালে, সঙ্গীত পরিচালক মদন মোহন এআইআর প্রযোজক সতীশ ভাটিয়ার ডিনার পার্টিতে ভূপিন্দরকে গান গাইতে শোনেন। তারপর তিনি ভূপিন্দরকে মুম্বইতে ডেকে পাঠান এবং মহম্মদ রফি, তালাত মেহমুদ ও মান্না দে-র সঙ্গে 'হোকে মজবুর উসনে মুঝে বুলায় হোগা' গানটি গাওয়ার সুযোগ দেন। হকিকত সিনেমার এই গানটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ভূপিন্দর সিং মিতালি মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন। মিতালি বাংলাদেশের একজন শিল্পী ছিলেন। ভূপিন্দর ও মিতালি একসঙ্গে অনেক গজল গেয়েছেন এবং লাইভ শো করেছেন। তাঁদের ছেলের নাম নিহাল সিং। তিনিও একজন সঙ্গীতশিল্পী।
আরও পড়ুন - হবু পার্টনারের চরিত্র কেমন? বিয়ের আগে ৩ উপায়ে জানা যায়