scorecardresearch
 

Aritra Dutta Banik: দু'বছর লেগেছে ফাজিল-ফচকে ছোকরার ইমেজ ভাঙতে: অরিত্র

Aritra Dutta Banik: সেই ২০০৩ সাল থেকে বাংলা ছবির পর্দায় যে ক’জন শিশু শিল্পী এসেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম অরিত্র দত্ত বণিক। দেবের ছবির অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি। একাধিক বাংলা ছবিতে কাজ করেছিলেন অরিত্র। তাঁর ছবির ঝুড়িতে রয়েছে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘লে ছক্কা’, ‘খোকাবাবু’র মতো বাংলা ছবি।

Advertisement
বহুবছর পর ফের বাংলা সিনেমায় ফিরছেন অরিত্র বহুবছর পর ফের বাংলা সিনেমায় ফিরছেন অরিত্র
হাইলাইটস
  • সেই ২০০৩ সাল থেকে বাংলা ছবির পর্দায় যে ক’জন শিশু শিল্পী এসেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম অরিত্র দত্ত বণিক
  • দেবের ছবির অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি। একাধিক বাংলা ছবিতে কাজ করেছিলেন অরিত্র।
  • তবে অরিত্র কামব্যাক করছে ফের টলিউডে তবে একেবারে নতুন রূপে।

সেই ২০০৩ সাল থেকে বাংলা ছবির পর্দায় যে ক’জন শিশু শিল্পী এসেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাম অরিত্র দত্ত বণিক। দেবের ছবির অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি। একাধিক বাংলা ছবিতে কাজ করেছিলেন অরিত্র। তাঁর ছবির ঝুড়িতে রয়েছে ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’, ‘পরাণ যায় জ্বলিয়া রে’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘লে ছক্কা’, ‘খোকাবাবু’র মতো বাংলা ছবি। অরিত্র স্ক্রিনে থাকা মানেই মজার কিছু একটা ঘটবেই। কেবল ছবি নয়, অরিত্র ধারাবাহিকেও কাজ করেছিলেন সে সময়। যেমন ‘তিথির অতিথি’, ‘সুখ’, ‘এই ঘর এই সংসার’। ‘ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়র’ রিয়্যালিটি শো সঞ্চালনা করেছেন। মিঠুনের সবচেয়ে কাছের ছিলেন অরিত্র। কিন্তু এরপরই সে ইন্ডাস্ট্রি থেকে গায়েব হয়ে যায়। তবে অরিত্র কামব্যাক করছে ফের টলিউডে তবে একেবারে নতুন রূপে। সেই নিয়েই খোলামেলা কথা বললেন আজতক বাংলার সঙ্গে।  

ওয়েবলেন্থ সিনেমায় তোমায় তো আবার দেখা যাবে
অরিত্র: ওয়েবলেন্থ একটা সায়েন্স ফিকশন সিনেমা। পরিচালক রুদ্রজিৎ রায়। তিনি প্রযোজকও। বহুবছর আগেই এটা রুদ্র দা আমায় বলেছিল যে যদি এই সিনেমা করি তবে তুমি করবে। আসলে এত বছর যে ধরনের চরিত্রে আমি কাজ করেছি, ফচকে ছেলে হিসাবে, ফাজিল-ফচকে চরিত্রেই তো অভিনয় করেছি সবসময়। তাই আমি যদি স্ক্রিনে যোদ্ধার চরিত্রেও আসতাম তাহলে দর্শকেরা বলতেন খুব এনজয় করেছি। তো বিষয়টা এরকম হয়ে গিয়েছিল। মহাভারতের একটা চরিত্রে আমি অভিনয় করেছিলাম, সেখানেও দর্শক ফান খুঁজছে। তো এরকম একটা ফানি চরিত্রকে ভেঙে নিজেকে নিয়ে আসাটা চ্যালেঞ্জের ছিল। কারণ আমি তো তথাকথিত পারফর্মার নই, আমার অভিনয় সংক্রান্ত কোনও কোর্সও করা নেই। পুরোটাই ইনটিউশন থেকে আসা। তাই দুই বছর লেগেছিল আমায় এই চরিত্রটায় নিজেকে গড়ে তুলতে। ১৭ বছরের অভিনয় জীবনে এটিই আমার সর্বশ্রেষ্ঠ কাজ। রুদ্রজিৎ রায় পরিচালিত ‘ওয়েবলেন্থ’ ছবির মূল চরিত্র হয়ে উঠতে আমি দু’বছর ধরে নিজেকে ভেঙেছি। যে লুক এবং মনস্তত্ত্ব আমি আয়ত্ত করেছি, তা বিশেষ প্রাপ্তি। 

Advertisement

 

আরও পড়ুন: TMC-BJP দ্বন্দ্বের ঊর্ধ্বে 'বন্ধুত্ব', জমাটি আড্ডায় মিমি-রুদ্রনীল

এই সিনেমায় তোমার চরিত্র সম্পর্কে একটু বল
অরিত্র: কম্পিউটার সায়েন্সটিস্টের ভূমিকায় আছি আমি এখানে। যিনি কাজ করেন  রুদ্রদা আমার মধ্যে সেই ডায়নামিক্স দেখেছিলেন। চরিত্রটার জন্য লুক বানানোর একটা প্রয়োজন ছিল। চেহারা খানিকটা ভাঙতে হত। প্রস্থেটিকের বিষয়ও ছিল। সেগুলো এড়াতে গিয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। চরিত্রটা তৈরি করতে হয়েছে ভিতরে-ভিতরে। প্রচুর রিহার্সাল করতে হয়েছে। 

কতবছর পর কামব্যাক করছ? 
অরিত্র: ২০১৭-১৮ সাল থেকে আমি ইন্ডাস্ট্রির বাইরে ছিলাম আমার পড়াশোনার জন্য। তারপর আমি মেইন স্ট্রিমে ফিরলাম গত বছরই অ্যামাজন প্রাইমে বম্বে তে প্রথম কাজ হল ‘ক্র্যাশ কোর্স’ ওয়েব সিরিজ, যা ৭ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে। এখানে অনু কাপুরও রয়েছেন। এ মাসের ৭ তারিখে মুক্তি পাচ্ছে অরিত্র অভিনীত আরও একটি ছবি ‘বরফি’। তার পরই মে-জুন মাসের শেষ দিকে মুক্তি পেতে পারে ‘ওয়েভ লেন্থ’। আর এই এক-দেড় বছর যে আমি কাজ করেছি, সেখানে পুরনো ইমেজ ভেঙে একেবারে নতুন চরিত্রে ধরা দেব। বছর চার পাঁচের বিরতি তো বটেই।  

 

আরও পড়ুন: মাল্টিকালার বিকিনিতে সমুদ্রের ধারে অদ্রিজা, নেট দুনিয়ায় বিশাল আলোড়ন

মিঠুন দার সঙ্গে সম্পর্ক এখন কেমন তোমার? 
অরিত্র: এমজির সঙ্গে ডান্স বাংলা ডান্স-এর ২ টো পর্বে ছিলাম। এমজি জানতেন না যে আমরা আসছি। দেখে তো একেবারে সারপ্রাইজ যে আমরা এত বড় হয়ে গিয়েছি। 

তোমার মতে শিশুশিল্পীরা কেন হারিয়ে যাচ্ছে?
অরিত্র: এর সবচেয়ে বড় কারণ হল ছোট অবস্থায় মা-বাবার উৎসাহে অনেক শিশুই এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসেন কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁরা বড় হওয়ার পর নিজেদের কেরিয়ার বেছে নেন। সকলেই যে অভিনেতা হতে চান এমনটা নয়। আমার যে সহ অভিনেত্রী ছিলেন তাথৈ দি, সে এখন আমেরিকা চলে গিয়েছে সেখানে প্রযুক্তি সংক্রান্ত কোনও কাজ করছেন। কিছু ক্ষেত্রে শিশুশিল্পীর ওই ইমেজ ভেঙে আসাটা কঠিন হয়ে যায়। আবার অনেকে ইন্টারেস্ট হারিয়ে ফেলেন। 

আরও পড়ুন: দার্জিলিঙে বিছুটি পাতা দিয়ে প্রপোজ, কীভাবে প্রেম শুরু সোহিনী-রণজয়ের?

সেদিনের একরত্তি আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের মুখ, কীভাবে এটা হল?
অরিত্র: আমি যেহেতু সোসিওলজির পড়ুয়া, তাই কোনওদিন ভাবিনি মানুষ আমার কথার এত গুরুত্ব দেবেন। আমি যেহেতু অনেক এনজিওর সঙ্গে যুক্ত আছি, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক গ্রুপের সঙ্গেও রয়েছি, তাই যখন কোনও বিষয় নিয়ে হাঙ্গামা হয় তখন আমি সেটা নিজের মতো করে বুঝে নিজের মতো করে মতামত দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি নিরপেক্ষভাবে মতামত রাখি তাই মানুষ আমায় গ্রহণ করেছে। আমি চোখের পট্টি খুলে বাস্তবটাকে তুলে ধরি। এর পিছনে তোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি নেই যে আমি ভোটে দাঁড়াব।

Advertisement