হৃদরোগে আক্রান্ত (Heart Attack) হয়ে প্রয়াত অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা (Siddarth Shukla)। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতাল (Cooper hospital) থেকে খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে। জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো 'বিগ বস' (Big Boss) -র সিজন ১৩ -তে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৪০ বছর।
বুধবার রাতে ঘুমানোর আগে কিছু ওষুধ খেয়েছিলেন সিদ্ধার্থ। কিন্তু ঘুম থেকে আর ওঠেননি তিনি। পরে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। অভিনেতার অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিনোদন জগতে। বলি থেকে টলি, সমস্ত ইন্ডাস্ট্রির তারকারা জানাচ্ছেন তাঁদের প্রতিক্রিয়া।
অভিনেত্রী সানা খান বলেন, "খবরটি পাওয়া মাত্রই আমি গুগলে সার্চ করতে শুরু করেছি। সিদ্ধার্থ এত ভাল মানুষ ছিল। আমার বিশ্বাস হচ্ছে না এখনও। বিষয়টি মেনে নিতে আমার সময় লাগবে,"
সঙ্গীতশিল্পী নেহা কক্কর সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, "আমার মাথা ও মন কোনওটাই এই মুহূর্তে কাজ করছে না..."
রাহুল মহাজন জানালেন, "সিদ্ধার্থ বলেছিল সব রকমের মানসিক চাপ ও সামলে নিতে পারবে। ও নিরামিষাশী ছিল, তাই পনির, ডাল এই সব খেত। খুবই মজার ও দয়ালু প্রকৃতির একজন মানুষ ছিল ও। আমাদের অনেকগুলি ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। আমি সত্যি মিস করবো ওঁকে।"
অভিনেতা তথা সাংসদ রবি কিষাণ জানান, "খুব অল্প বয়সে খ্যতি লাভ করেছিল সিদ্ধার্থ। এটা সমগ্র ইন্ডাস্ট্রি এবং ওঁর কোটি কোটি অনুগামীদের জন্য একটা বড় ক্ষতি। একেবারে ভিন্ন ধরণের স্টাইল ছিল ওঁর। 'বিগ বস' -র জন্য এত মানুষের ভালোবাসা পেয়েছিল। মহিলাদের অধিকার নিয়ে সরবও হয়েছিল। এতটা স্বাস্থ্য সচেতন একজন ছেলে যে রোজ শরীরচর্চা করতো। সত্যি অবাক করা খবর!"
টলিউড অভিনেত্রী ও সাংসদ নুসরত জাহান তাঁর ইন্সটা স্টোরিতে সিদ্ধার্থর ছবি শেয়ার করে শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন, "এত তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। এটা সত্যি একটা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না..." ট্যুইট করে যশ দাশগুপ্তও লিখেছেন, "বিশ্বাস হচ্ছে না!"
আরও পড়ুন: প্রথম দুই পর্বেই জমাট 'সঙ্গীতের মহাযুদ্ধ'-র মঞ্চ! থাকছে আর কোন চমক?
হিন্দি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় মুখ সিদ্ধার্থ শুক্লা। 'বালিকা বধূ' (Balika Vadhu) -র মাধ্যমে পরিচিতি পেতে শুরু করেন তিনি। 'বিগ বস' ছাড়াও আরও একটি রিয়্যালিটি শো 'খাতরো কি খিলাড়ি' (Khatron Ke Khiladi) -র সিজন ৭ -এ জিতেছিলেন তিনি। বলা চলে, হিন্দি ছোট পর্দার দর্শকদের একেবারে মনের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ।