পরিণতি পেল প্রেম। সাতপাকে বাঁধা পড়লেন নীল-তৃণা। বিয়েতে পুরোদস্তুর বাঙালি সাজেই তাক লাগিয়েছেন নীল ভট্টাচার্য ও তৃণা সাহা।
বৃহস্পতিবার তপসিয়ার অর্কিড গার্ডেনে বসেছিল বিয়ের আসর। সনাতন রীতি মেনেই একে অপরের গলায় মালা পড়ালেন নীল-তৃণা।
সংস্কৃত মন্ত্রধ্বনি উচ্চারণের মধ্যে মিশে গেল উলুধ্বনি আর শাঁখের আওয়াজ। নীল-তৃণা বলে উঠলেন- 'যদিদং হৃদয়ং মম, তদস্তু হৃদয়ং তব" অর্থাৎ ‘আমার হৃদয় তোমার হোক, তোমার হৃদয় আমার হোক’।
‘তৃনীল’ (Trineel) নতুন জীবনের শুরুর দিনটায় সাক্ষী থাকল টেলিউড ও টলিউডের একাধিক তারকা। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতিতে সনাতন রীতি মেনে চার হাত এক হল।
নবদম্পতিকে আর্শীবাদ করতে হাজির হয়েছিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমন্ত্রিতদের আপ্যায়নে কোনও খামতি রাখেননি তৃণা ও তাঁর পরিবার।
বিয়ের সময় নীল-তৃণার চোখে মুখে উচ্ছ্বাস ছিল স্পষ্ট। তবে পিঁড়ি ধরে যখন ঘোরানো হচ্ছিল কিছুটা নববধূর মতোই লাজুক দেখাল তৃণা সাহাকে।
বিয়ের অনুষ্ঠানের মেনু তালিকাতেও থাকল বাঙালির ট্রাডিশ্যানাল খাওয়ার-দাওয়া। স্টার্টারে ছিল ফুচকা, আলু চাট, পাপড়ি চাট, ছোলে টিক্কি। এছাড়া চা,কফি কিংবা পছন্দের মকটেলে গলা ভেজানোর সুযোগ ছিল।
মেইন কোর্সে পেটপুজোর জন্য ছিল একাধিক মেনু। আর সেই মেনুতে পুরোদস্তুর বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। তালিকায় শুরুতেই ছিল ছোলার ডাল, কড়াইসুঁটির কচুরি, ডাল মাখানি, বাটার নান, জিরে ভাত, সাদা ভাত, বাসন্তী পোলাও, চিতল মাছের মুইঠ্যা, পাঁঠার মাংসের কষা, চিংড়ি মালাইকারি, মিঠি মালাই চিকেন, ভেটকি পাতুরি। শেষপাতে হরেক রকম মিষ্টির আয়োজন। ছিল আটপৌরে পাটি সাপটা, খিরের মালপোয়া।
জানা যাচ্ছে তৃণা সাহার সঙ্গে নীল মুখোপাধ্যায়ের সম্পর্কের সূত্রপাত ২০১১ সালে। তাঁরা দুজনইে তখন MBA-এর প্রবেশিকা পরীক্ষা CAT-এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ২০১১ সালে বন্ধুত্ব দিবসের দিন একটি ডিস্কো পাব-এ তাঁরা প্রথম ডেটে গিয়েছিলেন। নীল-তৃণা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ২০১১তে তাঁদের বন্ধুত্বের সূত্রপাত হলেও একে উপর প্রতি বিশেষ অনুভূতির কথা তাঁরা বুঝতে পারেন ২০১৬ সালে এসে। সে বছর নীলের জন্মদিনে তৃণাই নাকি নিজের অনুভূতির কথা জানিয়েছিলেন। তবে নিজের মনের কথা তৃণাকে বলতে কিছুটা সময় নিয়েছিলেন নীল। ২০১৭-র ২১ জানুয়ারি তৃণার জন্মদিনে তৃণাকে প্রপোজ করেন নীল।