গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গানের রিয়েলিটি শো ইন্ডিয়ান আইডল নিয়ে প্রবল চর্চা হচ্ছে। শুরুটা হয়েছিল অমিত কুমারকে দিয়ে। কিশোর কুমার স্পেশাল এপিসোড নিয়ে অমিত প্রকাশ্য সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রতিযোগীদের প্রশংসা করার জন্য টাকা দিয়েছিলেন শো-এর আয়োজকরা। তার পর থেকে শো-এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জনমানসে।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগে গায়ক সোনু নিগম রিয়েলিটি শো-এর হালহকিকত নিয়ে সরব হয়েছিলেন। একটি ভিডিওতে তিনি জানিয়েছিলেন আসলে কী হয় ক্যামেরার পিছনে।
গত বছর সোনু-র একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভীষণ ভাইরাল হয়। চিত্রনির্মাতা বিবেকরঞ্জন অগ্নিহোত্রী-র সঙ্গে তিনি রিয়েলিটি শো-এর পর্দা ফাঁশ করেছিলেন। জানিয়েছিলেন, অনেক সময় ডাব করা গান দর্শকদের দেখানো হয়েছে।
সোনু বলেন, 'প্রথম সিজনে বিচারকদের স্টেজে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। দ্বিতীয় সিজন থেকে এ সব শুরু হয়েছিল, কারণ টিআরপি টিম, এন্টারটেনমেন্ট টিম এ সব করতে বলত। এরা গানের বিষয়ে কিছুই জানে না।'
সোনু আরও বলেন, 'এ সব ওখানকার প্রোগ্রামিং... সব কিছু মার্কেটিং টিম ঠিক করে দেয়। এখন তো বিচারকরা কাঁদছেন, কেউ প্রতিযোগীর পা ধরে ফেলছেন। আগে এ সব হত না। অন্য গানের শো-তে তো এ সব হচ্ছে না। সেখানে যেমন ছিল তেমনই আছে।'
'আমি কারও নিন্দা করছি না, তবে ওরা এটা বুঝতে পারছে ভারতে পাবলিক এ ভাবেই টরিগার্ড হয়। আমাকেও বলত প্রতিযোগীকে নিয়ে হাইপ তৈরি করতে। আমি মন থেকে এ সব করতে পারতাম না। আমি তাঁকে বোকা কী ভাবে বানাবো।'
'আরও সিক্রেট বলছি আপনাদের। প্রায় ৯৯ শতাংশ শো-তে সমস্ত ডাব করা গান দেখানো হয়। সমস্ত মাপাজোকা পারফরম্যান্স দেখেন আপনারা। গানের সময় যে ভুল হয় তা আপনাদের দেখানো হয় না। কেউ খারাপ গাওয়ার পর বিচারকরা সেটা পয়েন্ট আউট করলে সেই ভিজুয়াল দেখানো হয় না। যে কোনও জিনিসকে যদি খারাপ করতে হয় তবে ভারতে নিয়ে এসো... এটাই হচ্ছে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে।'