শিরোনামে থাকে স্টুডিওপাড়া। বাংলা ইন্ডাস্ট্রি ঝামেলা মিটেও যেন মিটছে না। ফেডারেশন বনাম ছোট পর্দার প্রযোজকদের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। টেকনিশিয়নদের বিরুদ্ধেও বারবার উঠেছে অসহযোগিতার অভিযোগ। মাঝে বন্ধ হয়েছিল তিন নতুন মেগার শ্যুটিং। অবশ্য সাময়িক সমঝোতার পরে ফ্লোরে ফেরেন সকলে। সোমবার টলিপাড়ায় মেগা মিটিং ছিল। চ্য়ানেল কর্তৃপক্ষ ও টেলিপর্দার প্রযোজকদের সঙ্গে বৈঠক সেরে এদিন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস জানান, আগামী দিনে যত বড় সমস্যাই আসুক, কাজ আর বন্ধ হবে না। আরও একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
এ দিনের বৈঠকে স্বরূপ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক নীলাঞ্জনা শর্মা, নিসপাল সিং রানে, সুশান্ত দাস, রাহুল মোহতা, সানি ঘোষ রায়-সহ জি বাংলা, স্টার জলসা, সান বাংলার মতো চ্যানেলের কর্মকর্তারা। বৈঠকের পরে জানানো হয়, বিশেষ ত্রিপাক্ষিক কমিটি গঠন করার পাশাপাশি মহিলা শিল্পী এবং কলাকুশলীদের জন্য উন্নতমানের শৌচালয় গড়ে তোলা হবে। এমনকী বিশেষ ক্যান্টিন এবং ভাল মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। বৈঠক থেকে আরও উঠে আসে, আর চলতি শ্যুটিং বন্ধ করা যাবে না। কোনও সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে সুরাহা করতে হবে। আলোচনা সাপেক্ষে টেকনিশিয়ানদের মাইনে বৃদ্ধি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়েছে। প্রায় ৩০ শতাংশ মাইনে বাড়তে চলেছে কলাকুশলীদের।
এছাড়াও চ্যানেল-প্রযোজক এবং ফেডারেশন মিলে একটি কমিটি গঠন করা হবে। সেই কমিটিতে স্টার জলসা, জি বাংলা, সান বাংলা এই তিনটি চ্যানেলের তরফে দু'জন করে সদস্য থাকবেন। এদিকে ফেডারেশন এবং এবং প্রযোজকদের তরফ থেকে থাকবেন তিন সদস্য।
এদিন একজোট হয়ে ত্রিপাক্ষিক কমিটি গঠন করার পক্ষে সায় দেয় প্রযোজক, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং ফেডারেশন। এছাড়াও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "৩০ জুন, আজ বাংলা ধারাবাহিকের ঐতিহাসিক দিন। একসঙ্গে পথচলার অঙ্গীকার করেছে ফেডারেশন, চ্যানেল ও প্রযোজকেরা।" এদিন স্বরূপ আরও জানান, এবার থেকে হিন্দি সিরিয়ালের শ্যুটিং যাতে কলকাতাতেও হতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে, খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবার ফের বন্ধ হয়েছে অনির্বাণ ভট্টচার্যর শ্যুটিং। সোমবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল অভিনেতার মিউজিক অ্যালবামের শ্যুটিং। তবে ফের টেকনিশিয়ানদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। এখন দেখার কবে এই সমস্যার সুরাহা হয়। অন্যদিকে সমস্যা কাটিয়ে কিছুটা আশার আলো দেখতে চলেছে টেলিপাড়া। কতটা সুরাহা হয় সব সমস্যার, তা সময়ই বলবে।