রবিবাসরীয় সন্ধ্যা জমে গেল সা রে গা মা পা ২০২২-এর গ্র্যান্ড ফিনালের গানে। এই ফিনালের ৬ জন প্রতিযোগীদের এক সে বড়কর এক গান বিচারক থেকে শ্রোতা সকলের মন ছুঁয়ে যায়। গানের এই রিয়্যালিটি শো নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। অবশেষে রবিবার ঘোষণা হল বিজয়ীদের নাম। এদিন ৬ জন প্রতিযোগীদের মধ্যে সেরার সেরা শিরোপা ছিনিয়ে নিলেন লক্ষ্মীকান্তপুরের পদ্ম পলাশ হালদার ও কলকাতার অস্মিতা কর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান দখল করলেন যথাক্রমে অ্যালবার্ট কাবো ও সোনিয়া গ্যাজমের। তবে এদিন পদ্ম পলাশের প্রথম হওয়া নিয়ে মোটেও খুশি হননি দর্শকদের একাংশ।
উঠছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
সা রে গা মা পা-এর বিচারকদের বিচারে পদ্ম পলাশকেই সেরার শিরোপা দেওয়া হলেও তা দর্শকদের একদমই ভালো লাগেনি। তাঁদের মতে অ্যালবার্ট কাবো এই শো জেতার যোগ্য প্রতিযোগী ছিলেন। প্রত্যেক সিজনের মতো এই সিজন নিয়েও উঠেছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাফল আসা মাত্রই নেটিজেনদের একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের মতে, পদ্ম পলাশ নন বরং কাবোকেই বিজয়ী করা উচিৎ ছিল।
আরও পড়ুন: 'সা রে গা মা পা' যুগ্মসেরা পদ্মপলাশ-অস্মিতা, কীভাবে উত্থান দু'জনের? অজানা কাহিনি
অজয় চক্রবর্তীর ছাত্র পদ্ম পলাশ
শুধু তাই নয পদ্ম পলাশ এই সারে গা মা পা-এর মহাগুরু অজয় চক্রবর্তীর ছাত্র। তাই সেটা নিয়েও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই বলছেন পদ্ম পলাশকে জেতানোর পিছনে রয়েছেন অজয় চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে অজয় চক্রবর্তীর কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছিলেন পদ্ম পলাশ। সেই দাবিকে সামনে রেখেই নেটিজেনদের একাংশ জানিয়েছেন যে পদ্ম পলাশ নন বরং অ্যালবার্ট কাবো এই সিজনের সেরার শিরোপা জেতার আসল দাবীদার।
আরও পড়ুন: সারেগামাপা জয়ী পদ্মপলাশ-অস্মিতা, দ্বিতীয়-তৃতীয় স্থানে কারা?
নেটিজেনরা ক্ষুব্ধ
প্রসঙ্গত, সা রে গা মা পা-এর এই সিজনে পদ্ম পলাশ প্রধানত কীর্তন গান গেয়েই বিচারকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। অন্য ধরনের গান খুবই কম শোনা গিয়েছিল পদ্ম পলাশের গলায়। অপরদিকে ভার্সেটাইল গান গেয়ে প্রথম থেকেই দর্শক ও বিচারকদেরও প্রিয় ছিলেন অ্যালবার্ট কাবো। তাঁর ভক্ত-অনুরাগীর সংখ্যা নেহাত কম নয়। আর তাই নেটিজেনরা মনে করছেন যে বিচারকরা আবারও ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন।
আরও পড়ুন: সঙ্গীতের মহারথীরা দিলেন বিশেষ বার্তা, দেখুন 'সারেগামাপা'-র গ্র্যান্ড ফিনালের আগাম ঝলক
ভিউয়ারস চয়েস পুরস্কার পেলেন অ্যালবার্ট কাবো
এখানে উল্লেখ্য, ভিউয়ারস চয়েস পুরস্কার পেলেন অ্যালবার্ট কাবো। তাই নেটিজেনদের মতে দর্শকদের মন যিনি করেছেন তাঁকেই তো জেতানো উচিৎ ছিল বিচারকদের। বলে রাখা ভালো, গুরুর আসনে বসে থাকা পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর শ্রুতিনন্দনের সুযোগ্য ছাত্র পদ্ম পলাশ। তাই নেটিজেনদের একাংশের দাবি, প্রথম থেকেই এই শো-তে পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে তাঁর সঙ্গে। শক্ত-শক্ত গান গাওয়ার চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়নি। কীর্তন বাজে গাইলেও কম নম্বর দিয়ে কখনও পাঠানো হয়নি ডেঞ্জার জোনে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুরের ছেলে পদ্মপলাশ হালদার। এদিন স্টেজে উঠে তিনি শোনান গণেশবন্দনা। ফাইনালে প্রথম রাউন্ডের শেষেই বাদ যান উত্তরবঙ্গের ইসলামপুরের বিমান বুলেট সরকার ও মালদার ঋদ্ধিমান বিশ্বাস। থেকে যান পদ্মপলাশ হালদার, সোনিয়া গ্যাজমের, আলবার্ট কাবো, ও অস্মিতা কর। তবে ফাইনালে আসা ৬ প্রতিযোগীকেই তালিম দেবেন অজয় চক্রবর্তী।
কালিম্পংয়ের ভূমিপুত্র অ্যালবার্ট কাবো
সারেগামাপা-র চলতি সিজনের অন্যতম চর্চিত প্রতিযোগি অ্যালবার্ট কাবো লেপচা। কাবোর পাহাড়িয়া সুর মন ছুঁয়েছে সকলের। কালিম্পংয়ের এই ভূমিপুত্রর গানে দর্শকই নয় ফিদা সারেগামাপা-র বিচারকরাও। দুর্দান্ত গানের গলার পাশাপাশি কাবোর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ তাঁর হ্যান্ডসাম লুকস। তবে জয়ী হতে না পারলেও দমে যাওয়ার পাত্র নন কাবো। জানিয়েছেন সামনে নতুন গানের সফল শুরু, সেদিকেই এখন মনোযোগ দিতে চাই।