গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটাই কথা, 'ফাইট ঐন্দ্রিলা, ফাইট'! একটা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে, 'কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা'? সকলের প্রার্থনা করছেন, অভিনেত্রীর সুস্থ হওয়ার খবর পাওয়ার।
উদ্বেগের মাঝে, সোমবার সামান্য স্বস্তি দিয়েছেন সব্যসাচী চৌধুরী। ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের সামান্য উন্নতি হয়েছে। এই খবর নিঃসন্দেহে সকলের জন্য অনেকটা আনন্দের।
টানা ৬ দিন থাকার পর, ভেন্টিলেশনে থেকে বাইরে আনা গেছে অভিনেত্রীকে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আপাতত ঐন্দ্রিলার জ্বর নেই এবং শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। তাঁর রক্তচাপও এখন মোটামুটি স্বাভাবিক। অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। তবে এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি।
'এক্সটার্নাল স্টিমুলি'-র মাধ্যমে সুস্থ করার চেষ্টা চলছে লড়াকু অভিনেত্রীকে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে এই থেরাপিতে সাহায্য করছে ঐন্দ্রিলার পরিবার ও পরিজনেরা।
সোমবার সব্যসাচী জানান, "ঐন্দ্রিলার এখনও পুরোপুরি জ্ঞান ফেরেনি। তবে ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে, শ্বাসক্রিয়া আগের থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, রক্তচাপও মোটামুটি স্বাভাবিক। জ্বর কমেছে। ওর মা যতক্ষণ থাকে, নিজের হাতে ওর ফিজিওথেরাপি করায়, যত্ন নেয়। বাবা আর দিদি ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করে। সৌরভ আর দিব্য রোজ রাতে আমার সাথে হাসপাতালে থাকতে আসে।"
তিনি আরও লেখেন, "আমি দিনে তিনবার করে গল্প করি ঐন্দ্রিলার সাথে। গলা চিনতে পারে, হার্টরেট ১৩০-১৪০ পৌঁছে যায়, দরদর করে ঘাম হয়, হাত মুচড়িয়ে আমার হাত ধরার চেষ্টা করে। প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, এখন বুঝি ওটাই ফিরিয়ে আনার এক্সটার্নাল স্টিমুলি।"
সব্যসাচী আরও যোগ করেন, "‘ভালো আছে’ বলতে আমার ভয় লাগে, কিন্তু ঐন্দ্রিলা আছে। প্রচন্ডভাবে আছে। আমার সামনে শুয়ে থেকেও হয়তো কয়েক সহস্র মাইল দূরে আছে কিন্তু ঠিক ফিরে আসবে। ওর একা থাকতে বিরক্ত লাগে।"
গত বুধবার সন্ধ্যায় এক দুঃসংবাদে মন ভারাক্রান্ত হয়ে যায় সকলের। ব্রেন স্ট্রোক হয়ে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ঐন্দ্রিলা শর্মা।
প্রায় বছর সাতেক আগে ২০১৫ সালে শিরদাঁড়ার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। একাধিকবার ঝুঁকিপূর্ণ সার্জারির পর চলেছে কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন। তবুও মুখের হাসি কখনও অমিল হতে দেখেননি কাছের মানুষেরা।