দীর্ঘ ঠাণ্ডা লড়াইয়ের পর অবশেষে নিরবতা ভাঙলেন অভিনেত্রী- সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। লম্বা বিবৃতি দিয়ে জানালেন তাঁর যুক্তি।
একটি ৭ পয়েন্টের বিবৃতি দিয়েছেন নুসরত তাঁর ও নিখিল জৈনের (Nikhil Jain) বিয়ে নিয়ে। যেখানে তিনি দাবী করেছেন যে, তাঁদের বিয়ে আসলে অবৈধ বরং এটাকে 'লিভ-ইন' সম্পর্ক বলা।
নুসরত জানিয়েছেন যে নিখিল জৈন, বেআইনি ও অযৌক্তিক উপায়ে তাঁর ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন। নায়িকা ইতিমধ্যে এই সম্পর্কিত তথ্য ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের থেকে নিয়েছেন। শুধু তাই নয় খুব শীঘ্রই এই নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নুসরত জাহান বলেন, অতীতে, নিখিল জৈনের অনুরোধে তাঁর সমস্ত পারিবারিক অ্যাকাউন্টের বিবরণ নিখিলের কাছে হস্তান্তরিত করেছিলেন তিনি। তাঁর সম্মতি ছাড়াই বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থের অপব্যবহার করেছেন তাঁর 'অবৈধ স্বামী'।
নায়িকার অভিযোগ, তাঁর জামাকাপড়, ব্যাগ এবং আনুষাঙ্গিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এখনও নিখিল ও তাঁর পরিবারের কাছেই আছে। এমনকি তাঁর পরিবার- পরিজনের দেওয়া গয়না ও তাঁর নিজের উপার্জিত সম্পদ অবৈধভাবে নিজেদের কাছে রেখেছেন নিখিল, বলেই জানান নুসরত জাহান।
২০১৯ সালের ১৯ জুন দীর্ঘদিনের বয়ফ্রেন্ড, ব্যবসায়ী নিখিল জৈনর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন নুসরত জাহান। তুরস্কে বসেছিল তাঁদের বিয়ের রাজকীয় অনুষ্ঠান। এরপর কলকাতায় এসেও হয় গ্র্যান্ড রিসেপশন পার্টি।
পার্টি থেকে দুর্গাপুজোর অঞ্জলী সবেতেই জুটিতে দেখা যেত নিখিল ও নুসরতকে। এমনকি বিভিন্ন সময়ের ছবি দেখলে মনে হবে একে অপরকে চোখে হারাচ্ছেন তাঁরা। গত নভেম্বর মাস থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন নিখিল - নুসরত।
সেই ভুল নেটাগরিকদের ভাঙে গত বছর ডিসেম্বর মাস নাগাদ। রাজস্থান ট্রিপে একসঙ্গে গিয়েছিলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত ও নুসরত জাহান। দুজনের একসঙ্গে ছবি সোস্যাল পেজে না দিলেও আলাদা আলাদ শেয়ার করেছিলেন নিজেদের প্রোফাইলে। পুজোর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'SOS কলকাতা'-এ একসঙ্গে কাজ করেছিলেন যশ-নুসরত ও মিমি। তাঁর মধ্যে যশ ও নুসরতের বন্ধুত্ব অনেকটাই গভীর হয়েছিল বলে শোনা যায়।