আসছে সায়ন্তন ঘোষালের নতুন ছবি। ডার্ক কমেডি ঘরানার এই ছবির নাম- 'এলএসডি- লাল স্যুটকেসটা দেখেছেন'। এই ছবির প্রযোজনা করছে সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থা- সোহম এন্টারটেইনমেন্ট। এই ছবিতে সায়নী ঘোষের সঙ্গে জুটি বাঁধছেন সোহম।
সোহম, সায়নী ছাড়াও অভিনয় করছেন কাঞ্চন মল্লিক, লাবনী সরকার, সুমিত সমাদ্দার, জুন মালিয়া, অভিজিৎ গুহ, সুভদ্রা মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা। ছবির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন সায়ন দাশগুপ্ত। সিনেমাটোগ্রাফি রম্যদীপ সাহার। সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন স্যাভি।
কেমন হবে গল্প? এক রাতে বদলে যায় অনেকগুলি সাধারণ গড়পড়তা জীবন। সম্ভ্রান্ত বাড়ির মেয়ে রূপসা জীবনের কঠিন বাস্তব থেকে পালানোর রাস্তা খোঁজে তার কলেজের সিনিয়র দিদি তৃণার সঙ্গে বিভিন্ন নেশা করে।
হঠাৎ রূপসার বিয়ে ঠিক হয় এবং কলেজের সহপাঠী অমর্ত্যকে সে যোগাযোগ করে, এলএসডি মাদক নেওয়ার জন্য। নিয়মের বেড়াজালে আটকে ছিল অমর্ত্যর জীবন। সে রাতে মিশে যায় একাধিক জীবনের যাত্রাপথ। রূপসা বুঝতে পারে যে, কোনও নেশা এক অদ্ভুত হাতছানি, যা মানুষকে অন্ধকারের দিকেই নিয়ে যায়।
রূপসা-অমর্ত্য বুঝতে পারে একে অপরকে ভালোবাসে তারা। বিভিন্ন মানুষের আকাঙ্ক্ষা, আবেগ, বেদনা মিশে যায় সে রাতের যাত্রায়।
রাত কেটে ভোর হয়। এক নতুন উপলব্ধি হয় দু'জনের। 'জীবনের মতো নেশা কিছুতে নেই। তাই মন খুলে বাঁচার মধ্যেই জীবনের সব রস খুঁজে পাওয়া যায়। যা কোনও মাদক দিতে পারে না। তাই মাদক ত্যাগ করে জীবনকেই গ্রহণ করতে হয়...'। ঠিক কীভাবে সাজানো হয় এবং গল্প কোনদিকে এগোয় গল্প, তা জানা যাবে ছবিতে।
সায়ন্তন ঘোষাল জানালেন, "আমি দীর্ঘকাল ধরে এলএসডি-র সঙ্গে সম্পর্কিত ছবিগুলির ঘরানার সন্ধান করতে চেয়েছিলাম। এটি একটি ডার্ক কমেডি, বাংলায় খুব বিরল একটি ঘরানা। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন সোহম ও সায়নী। ছবির এই দুই প্রধান চরিত্র, ঘটনাচক্রে এক খারাপ আচরণকারী ক্যাব চালককে হত্যা করে। তারা মাদকাসক্ত... পুলিশ, পরিবার এবং আরও অনেকে তাদের খুঁজছে। গল্পটি তাদের এক রাতের যাত্রা সম্পর্কে বলে, যখন তারা একের পর এক সমস্যা এড়াতে শহর জুড়ে ছুটে বেড়ায়। তাদের মূল লক্ষ্য হল একটি লাল স্যুটকেসের ভিতরে যে লাশটি রয়েছে, তা সরিতে ফেলা। এই গল্প জুড়ে রয়েছে রোমাঞ্চ, টুইস্ট এবং অপ্রত্যাশিত মোড়। তবে আমার কাছে এটি মূলত একটি প্রেমের গল্প। চরিত্রগুলি কীভাবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে এবং তাদের অভ্যন্তরীণ যাত্রার গল্প এই ছবি।"
পরিচালক আরও বলেন, "ছবির চিত্রগ্রহণ কঠিন হলেও মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে। সমস্ত দৃশ্য বাস্তব লোকেশনে শ্যুট করা হয়েছে। কারণ আমার মনে হয়েছিল যে, সেটে শ্যুট করলে আসল ফ্লেবারটাই হারিয়ে যাবে। শৌচালয় থেকে যৌনপল্লি, শহরজুড়ে ছিল আমাদের লোকেশন। সোহমকে এক ঝলক দেখার জন্য ভিড় করতেন বহু মানুষ। আমি খুশি যে, সোহমের মতো একজন জনপ্রিয় তারকা এই ছবির প্রযোজক হিসেবে এগিয়ে এসেছেন। সায়নীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও দারুণ। তিনি এত ভাল শিল্পী হওয়া সত্ত্বেও অত্যন্ত নম্র। এটি নিঃসন্দেহে আমার এখন পর্যন্ত করা সবচেয়ে উপভোগ্য সিনেমা তৈরির অভিজ্ঞতাগুলির মধ্যে একটি।"