পুরোনো এক ভগ্নপ্রায় মন্দিরের আড়ালে লুকিয়ে আছে অনেক না বলা গল্প... আসছে দেব রায় পরিচালিত নতুন হরর ও কমেডির মিশেলে তৈরি ছবি 'তরুলতার ভূত' (Torulatar Bhoot)। সম্প্রতি হয়ে গেল ছবির ট্রেলার ও মিউজিক লঞ্চ।
ছবিতে রয়েছে একঝাঁক পরিচিত মুখ। মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (Indranil Sengupta), ইশা সাহা (Ishaa Saha), বাসবদত্তা চ্যাটার্জী (Basabdatta Chatterjee)। এছাড়াও অভিনয় করছেন রাহুল দেব বসু, প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, কৃপা বিন্দু, সুমিত সমাদ্দার, প্রসূন সাহা, দীপান্বিতা, স্নেহেন্দু, ত্রিপর্ণা, তুহিনা, তবলু, প্রশান্ত, সোমরূপ, উদয় শঙ্কর পাল, দীপান্বিতা হাজারী সহ অন্যান্যরা।
কলকাতা থেকে একটা দূরের এক গ্রামে পিকনিক করতে যায় একটি দল। হাসিঠাট্টা, মজা, একে অপরের পিছনে লাগা, খুনসুটি সব মিলিয়ে জমজমাট একটা ব্যাপার। তারই মধ্যে সম্পর্কের চোরা টান, অতীতের দুঃসহ স্মৃতি উঁকি মারে কখনও কখনও। গ্রামে পৌঁছে তাঁরা 'তরুলতার দিঘি'-র গল্প শোনে। সেখানে নাকি তরুলতার ভূত থাকে। কোনও ছেলে ওই দিঘির কাছে একা গেলেই তাঁকে ডুবিয়ে মারে সেই আত্মা।
এদিকে হঠাৎ পথ অবরোধের কারণে তাঁদের সেই রাতে কলকাতা ফেরা হয় না, থেকে যেতে হয় গ্রামেই। হঠাৎ করেই গ্রামের বেশ কিছু ছেলে নিখোঁজ হয়, রহস্য যেন আরও ঘনীভূত হতে থাকে। এরপর একে একে ঘটতে থাকে নানা রহস্যজনক ঘটনা। সকলে ভাবতে থাকেন, চোখের সামনে যা ঘটছে, তার সবটাই কি মনের ভুল? আর এইভাবেই এগোয় ছবির গল্প...
'তরুলতার ভূত' ছবিটি মূলত মনের নেতিবাচক সত্ত্বাকে হত্যা করে সত্যের মুখোমুখি হওয়ার সাহসকে আহ্বান করে। এটি পাপ এবং মুক্তির পার্থিব এবং জাগতিক সম্পর্কের গল্প বলে। এই ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন উপল সেনগুপ্ত। সিনেমাটোগ্রাফি জয়দীপ বসুর এবং সম্পাদনা সুজয় দত্ত রায়ের।
ইতিমধ্যে সামনে এসেছে দুটি গান। 'পিকনিকের গান' -এই মজার গানটি গেয়েছেন উপল সেনগুপ্ত, অরুন্ধতী (সোনা) ভট্টাচার্য, সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়, রুদ্রনীল চৌধুরী, তিয়াসা সেনগুপ্ত, নীলাঞ্জন মাণ্ডালা, অভিজিৎ ভট্টাচার্য এবং শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়। গানের কথা লিখেছেন অনিন্দ চট্টোপাধ্যায়। আরেকটি গান 'কালো জলে' রয়েছে অরুন্ধতী (সোনা) ভট্টাচার্যের কণ্ঠে। গানের কথা লিখেছেন চন্দ্রিল ভট্টাচার্য। এতজন গুণী শিল্পী যখন একসঙ্গে রয়েছেন, তখন গানগুলি সকলের মন ছুঁয়ে যাবে, বলেই আশা করা যায়।
ছবিতে ভিকি ঘোষের চরিত্রে অভিনয় করছেন ইন্দ্রনীল। যিনি একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে সাহায্য করতে সে আসে। ইশার চরিত্রের নাম কমলকলি। তাঁর স্বপ্ন ছিল সে ডাক্তার হবে, কিন্তু একটি দুর্বিষহ রাত তাঁর জীবন বদলে দেয়। অন্যদিকে বাসবদত্তা অভিনয় করছেন মনোরমা চরিত্রে, যে তাঁর বোনের রহস্যজনক মৃত্যুর পিছনে লুকিয়ে থাকা সত্যের অনুসন্ধান করতে চায়।