সিনেমাপ্রেমী যে বাঙালিরা এই মুহূর্তে রাজধানী নিবাসী, তাদের জন্য রয়েছে সুখবর। শুরু হবে পঞ্চদশ বাংলা সিনে উৎসব (Bangla Cine Utsav)। আগামী ১১ থেকে ১৩ মার্চ, তিনদিন ব্যাপী এই উৎসব চলবে, বঙ্গ সংস্কৃতি ভবনের মুক্তধারা প্রেক্ষাগৃহে। সিনে উৎসব আয়োজনে রয়েছে দিল্লির বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশন (New Delhi Bengal Association)। উৎসবের এবারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর টলিউড অভিনেত্রী পাওলি দাম (Paoli Dam)।
পাওলি দাম -দেব অভিনীত, লীনা গঙ্গোপাধ্যায় ও শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত 'সাঁঝবাতি' (Sanjhbati) ছাড়াও আরও ৬ টি ছবি স্ক্রিনিং হবে এবারের সিনে উৎসবে। সেই তালিকায় আছে, অরুণ রায়ের 'হীরালাল' (Hiralal), সুপ্রিয় সেনের 'ট্যাংরা ব্লুজ' (Tangra Blues), শৈবাল মিত্রের 'তখন কুয়াশা ছিল' (Tokhon Kuyasha Chilo), অরিন্দম ভট্টাচার্যর 'অন্তর্ধান' (Antardhan), শ্রীমন্ত সেনগুপ্তর 'আবার বছর কুড়ি পরে' (Abar Bochhor Koorie Pore) এবং অভিজিৎ সেনের 'টনিক' (Tonic)।
আরও পড়ুন: "এবার শান্তিতে মরতে পারব!" গুলজারের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে কেন বললেন সৃজিত?
পূর্ণ দৈর্ঘ্যর সাতটি ছবির পাশাপাশি স্বল্প দৈর্ঘ্যের চারটি ছবিও প্রদর্শিত হবে সিনে উৎসবে। সেই তালিকায় রয়েছে, মনসিজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ফেড আউট', মানস নন্দর 'ফোন শর্টস', পূর্ণেন্দু ভট্টাচার্যর 'জাল' এবং অরুনিমা দে-এর 'তুমি ও তুমি'।
শুধু ছবির স্ক্রিনিং নয় 'বাংলা সিনেমা শিল্পে অতিমারীর প্রভাব' এবং 'বহির্বঙ্গে বাংলা ছায়াছবির প্রচার ও প্রসারের প্রয়োজনীয়তা' -এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনাও করবেন বিশিষ্টজনেরা। শোনা যাচ্ছে, অনেক টলি অভিনেতারাই হাজির থাকবেন এই সিনে উৎসবে।
আরও পড়ুন: "প্রেমে ধাক্কা খেয়েই আজ কুমার শানু হয়েছি"! আবেগপ্রবণ 'মেলডি কিং'
বেঙ্গল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক তপন সেনগুপ্ত জানালেন, "বর্তমান প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েও, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বাংলা সিনেমার প্রচার ও প্রসারের কথা মাথায় রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।"
তিনি যোগ করলেন, এই বাংলা সিনে উৎসবে দিল্লির বহু বাঙালি একত্রিত হয়ে নতুন বাংলা ছবির রসাস্বাদন করতে পারেন। তাই তাদের কাছে এই উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম। সমগ্র দিল্লির বাংলা সিনেমাপ্রেমী বাঙালিকে এই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।"