সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তআরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে 'রাত দখল' আন্দোলনে গিয়ে চরম হেনস্থার মুখে পড়তে হল টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে (Rituparna Sengupta)। অভিনেত্রীর উদ্দেশে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তোলেন একদল মানুষ। অভিনেত্রীর গাড়ির উপর চড়াও হন তাঁরা। এমনকি গাড়ির দিকে জুতো ও বোতল ছুড়েও মারা হয়। ভয়াবহ পরিস্থিতিতে গাড়িতে উঠে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন ঋতুপর্ণা। ঋতুপর্ণাকে এই ভাবে হেনস্থা নিয়ে bangla.aajtak.in-এ প্রতিক্রিয়া দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, অভিনেতা, অভিনেত্রীদের সব সময় সফট টার্গেট করা হয়। এটা ঠিক নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'ফোঁস' করার নির্দেশ নিয়েও মত জানালেন সায়ন্তিকা।
'ট্রোলড হলে দুঃখ লাগে'
ঋতুপর্ণাকে হেনস্থা প্রসঙ্গে সায়ন্তিকার বক্তব্য, 'ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বিষয়টা বিস্তারিত জানি না। আমি একজন অভিনেত্রী হিসেবে বলব, আমাদের ফ্যানরা যেমন আমাদের ভালোবাসেন, তেমনই আমাদের সমালোচকরা সমালোচনা করে। আমরা এগুলি স্পোর্টিংলি নিই। আমি এটা পজিটিভলি নিই। সমালোচনা করছেন মানে, কিছু নিশ্চয়ই খুঁত আছে, আগামীদিনে ঠিক করে নিতে পারি। আসলে সব সময় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সফট টার্গেট করা ঠিক নয়। আমরা তো সকলেই নাগরিক সমাজে পড়ি, যার যাই প্রফেশন হোক। আমাদের প্রতিবাদের মিডিয়াম আলাদা হতেই পারে। মূল উদ্দেশ্য ঠিক কি না, দেখা উচিত। অন্য সময়েও আমরা অনেক রকম ট্রোলিংয়ের শিকার হই। আমরা যা কিছু করি, ফ্যানদের জন্য করি। কারও ভাল লাগে, কারও খারাপ লাগে। কিন্তু ট্রোলড হলে দুঃখ লাগে।'
বস্তুত, কয়েকদিন আগে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গিটার বাজিয়ে চরম ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন সায়ন্তিকা। শাঁখ বাজানোর ছবি দিয়ে ট্রোলড হয়েছেন ঋতুপর্ণাও।
'আমরা কাউেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাই না'
মেয়ো রোডে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের সমাবেশে বক্তৃতা করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, 'যে আপনাকে রোজ কামড়াচ্ছে, তাকে কামড়াবেন না। কিন্তু ফোঁস তো করতে পারেন।' শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশ উদ্ধৃত করেই তিনি এ কথা বলেছেন, পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় স্পষ্টও করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ফোঁস প্রসঙ্গে সায়ন্তিকার সাবধানী মন্তব্য, 'শাসকদল হিসেবে সব সময়ই একটা সমালোচনা চলতে থাকে। র্যাডারে থাকতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী যে কথাটা বলেছেন, সেটা উনি নিজেই স্পষ্ট করেছেন। আমি নতুন করে কিছু বলছি না। যিনি বা যাঁরা মন্তব্য করছেন, না বুঝে, সেটা তারা ব্যক্তিগত ধারনা থেকে বলছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রী ফের স্পষ্ট করে বুঝিয়েছেন। তারপরেও যদি কোনও ব্যক্তি কিছু বলে থাকে, সেটা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। আমরা কাউেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে চাই না, কারণ এটা ব্যক্তি আক্রমণের সময় নয়।'