সামনেই মুক্তি পাবে তাঁর প্রথম ছবি। কিছুটা টেনশন এবং অনেকটা উৎসাহে দিন কাটছে বৃষ্টির। বুঝতে পারলেন না? কথা হচ্ছে, অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত 'বাবা বেবি ও' (Baba Baby O) ছবির 'বৃষ্টি' ওরফে অভিনেত্রী শোলাঙ্কি রায়কে (Solanki Roy) নিয়ে। প্রথম ছবিতেই তিনি জুটি বেঁধেছেন যিশু সেনগুপ্তের (Jisshu Sengupta) সঙ্গে। ছবি মুক্তির আগে আজতক বাংলার সঙ্গে আড্ডায় শোলাঙ্কি।
আজতক বাংলা: সামনেই প্রথম ছবির মুক্তি, কী রকম অনুভূতি হচ্ছে?
শোলাঙ্কি: খুবই উৎসাহিত,যেহেতু প্রথম ছবি। সেই সঙ্গে কিছুটা নার্ভাসও বটে, কেমন হবে সবটা, এই নিয়ে।
প্রশ্ন: 'বাবা বেবি ও'-এর ট্রেলার, গান সবই তো অনেক প্রশংসা কুড়াচ্ছে। চিরঞ্জীবী, বিদ্যা বালনের মতো তারকাও প্রশংসা করলেন...
শোলাঙ্কি: এটা কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল। যেমন খুব খুশি হয়েছি, সেই সঙ্গে এর ফলে সকলের প্রত্যাশা আরও অনেক বেড়ে গেছে। আশা করি সকলের ভাল লাগবে।
প্রশ্ন: সারোগেসি নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কাজ হয়েছে। এই ছবির মূল ইউএসপি কী?
শোলাঙ্কি: আমাদের ছবির গল্পটা একেবারে আলাদা। সারোগেসি নিয়ে কাজ হলেও, 'সিঙ্গেল ফাদার' নিয়ে এই ধরণের কাজ হয়নি। বিষয়টা নিয়ে সমাজে অনেকেরই মনে অনেক প্রশ্ন আছে। ছবিটা দেখার পর দর্শকদের 'সারোগেসি' নিয়ে ধারণাটা অনেকটা বদলাবে।
প্রশ্ন: বৃষ্টির সঙ্গে শোলাঙ্কির কতটা মিল আছে?
শোলাঙ্কি: বৃষ্টির সঙ্গে শোলাঙ্কির কোনও মিল নেই। বৃষ্টি একেবারেই অন্য রকম একটা চরিত্র। তবে একটা জায়গায় মিল রয়েছে, দু'জনেই খুব জেদি। আমি একটু 'হেড স্ট্রং' বলেই বদনাম আমার।
প্রশ্ন: একেবারে ক্ষুদে দু'জন অভিনেতার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন। কেমন অভিজ্ঞতা হল?
শোলাঙ্কি: আমার মনে হয় গোটা সিনেমায় বাচ্চা দুটোই মূল ইউএসপি। ওরা খুব মিষ্টি।
প্রশ্ন: প্রথম ছবিতেই আপনার বিপরীতে যিশু সেনগুপ্ত। শ্যুটিং ফ্লোরেও তো অনেক মজা করেছেন?
শোলাঙ্কি: যিশু দা-এর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা সত্যি খুব ভাল। খুব নম্র একজন তারকা। হ্যাঁ, একজন তারকা হয়েও যিশু দা একেবারে মাটির মানুষ। এতটাই মজা করে, যে কোনও অভিনেতা আবার ওঁর সঙ্গে অভিনয় করতে চাইবে। আমিও সে অপেক্ষায় আছি।
প্রশ্ন: ট্রেলারে আপনি বাচ্চাদের অপছন্দ করার কথা বলছেন... বাস্তবেও কি তাই?
শোলাঙ্কি: কয়েক বছর আগে পর্যন্ত আমি বুঝতে পারতাম না, কীভাবে কোনও বাচ্চাকে সামলাতে হয়। ওরাও বোধ হয় আমায় খুব একটা পছন্দ করত না। তবে এখন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিপক্কতা বাড়ছে। এখন বাচ্চা ভালই লাগে। ওই জন্যই আগে বললাম, বৃষ্টির সঙ্গে শোলাঙ্কির কোনও মিল নেই।
প্রশ্ন: তাহলে তো এই চরিত্রটা করা আরও বেশি কঠিন ছিল!
শোলাঙ্কি: সারা জীবনে আমি যদি ১০০ রকমের চরিত্রে অভিনয় করি, ১০০ রকম মানুষ তো আমি হতে পারব না। অভিনেতাদের এটাই তো কাজ। তবে এই চরিত্রটা খুব কঠিন বলে আমার একেবারেই মন হয়নি। উল্টে একটা অন্য মানুষ হয়ে ওঠাটাই খুব ভাল লেগেছে।
প্রশ্ন: আপনি যেহেতু রিয়েল লাইফে বিবাহিত, সোশ্যাল মাধ্যমে নেটিজেনরাও বারবার প্রশ্ন করেন, 'কবে
মা হচ্ছেন'? কীভাবে সামলান?
শোলাঙ্কি: আমি এই ধরণের প্রশ্নের উত্তর দিই না তাদের। এটা আমার এতটাই ব্যক্তিগত জীবনের প্রশ্ন, কেন উত্তর দেব? যখন আমার মনে হবে, তখন এবিষয় ভাবব। আবার যদি কখনই মনে না হয়, বাচ্চার নেওয়ার কথা, তাহলে সেরকম সিদ্ধান্ত নেব।
প্রশ্ন: উত্তর না দিলেও তো আজকাল ট্রোলড হতে হয়...
শোলাঙ্কি: আমরা যখন বড় হয়েছি জানতাম যে, জনসম্মুখে অনেক কথা বলা যায় না। এখন আমি দেখছি বিষয়টা একেবারে উল্টো। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে মানুষের সবচেয়ে বেশি হয়রানি হয়। আসলে পর্দার পিছন থেকে কাউকে আক্রমণ করা খুব সহজ। সামনে থেকে বলতে সাহস লাগে। তাই আমি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এড়িয়ে যাই। তবে আমার মজার মিম কেউ বানালে, আমি শেয়ার করি।
প্রশ্ন: ৪ ফেব্রুয়ারি 'বাবা বেবি ও' মুক্তি, কোভিড পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। কী মনে হচ্ছে, দর্শক হলমুখী হবেন?
শোলাঙ্কি: এটাই একমাত্র টেনশন এখন। তবে এই ছবিটা দর্শকদের ভাল লাগার যথেষ্ট কারণ আছে। তবে দর্শকদের একটা কথাই বলব, যে কোনও ছবিই সিনেমা হলে গিয়ে দেখা উচিত। কোভিড বিধি মেনে হলে গিয়েই ছবিটা দেখুন, ভাল লাগবে।