চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার নতুন স্ট্রেন আগের তুলনায় অনেক বেশি সক্রামক! অধিকাংশ আক্রান্তের ক্ষেত্রে কোনও উপসর্গ না থাকায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অনেকের মধ্যে। তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে নিয়ন্ত্রণ পেতে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি করোনা টিকাকরণ অত্যন্ত জরুরি।
কেন্দ্রের থেকে যে পরিমাণ প্রতিষেধক মিলবে সেই অনুপাতে টিকাকরণ কর্মসূচি চলবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে। কলকাতা পুরসভার মোট ১৪৪টি টিকাকরণ কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়াও, পৃথক ১৮টি মেগা সেন্টার থেকে করোনার টিকা দেয় কলকাতা পুরসভা।
কিন্তু রাজ্য সরকারের হাতে কোভ্যাক্সিন প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম রয়েছে। এ দিকে কেন্দ্রের তরফেও যথেষ্ট কোভ্যাক্সিন পাঠানো হয়নি। কয়েক লক্ষ ডোজ পাঠানোর কথা থাকলেও সেগুলি এখনও রাজ্যের হাতে এসে পৌঁছায়নি।
অপর্যাপ্ত জোগানের ফলে আজ, সোমবার থেকে কলকাতায় সব কোভ্যাক্সিন টিকা কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকছে। হাতে কোভ্যাক্সিনের পর্যাপ্ত ডোজ হাতে এলেই আবার টিকা শুরু করা যাবে বলে রবিবার পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে কোভিশিল্ড যাঁরা নিয়েছেন বা নেবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না।
কলকাতা পুরসভার বিবৃতি অনুযায়ী, কেন্দ্রের থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোভ্যাক্সিনের ডোজ আসেনি। তাই পরবর্তী ঘোষণার আগে পর্যন্ত কোভ্যাক্সিন দেওয়া বন্ধ থাকছে পুরসভার টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে। এই পরিস্থিতির ফলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে শহরের সেই সমস্ত নাগরিকদের, যাঁদের কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে আর এখন দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় এগিয়ে এসেছে।