Omicron Case In India : করোনা ভাইরাস এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ভারতে এখনও পর্যন্ত ৩৪৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে মহারাষ্ট্রে ৮৮ এবং রাজধানী দিল্লিতে ৫৭ জন রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এই দুই রাজ্যের লোকই। লোকনায়ক জয় প্রকাশ নারায়ন হাসপাতালের ডাক্তার সুরেশ কুমার জানিয়েছেন ওমিক্রন সংক্রমিত রোগের বেশী সময়ে হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন পড়ছে না। তিনি জানিয়েছেন, যে ওমিক্রন সংক্রমিত প্রায় ৩৪ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে ১৮ জন মুক্তি পেয়ে বাড়ি চলে গিয়েছেন।
ডক্টর সুরেশ নিউজ এজেন্সি ANI-কে জানিয়েছেন যে হাসপাতালে ভর্তি সমস্ত রোগীদের সম্পূর্ণ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে দুজন রোগী এমন রয়েছেন যারা ইংল্যান্ডে থাকার সময় বুস্টার লাগিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে তাদের হাসপাতালে এয়ারপোর্ট থেকে রোজ ১৫ থেকে ১৮ জন সন্দিগ্ধ লোক আনা হচ্ছে।
ডাক্তার সুরেশ জানিয়েছেন যে, ওমিক্রন এর বেশিরভাগ সংক্রমিত ঠিক হয়ে গিয়েছেন এবং তাদের ডিসচার্জ করে দেওয়া হয়েছে। এই রোগীদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত কোনও গম্ভীর সমস্যা দেখা দেয়নি। ৯৯ শতাংশ মামলার কোনও লক্ষণ বা জোর কিছুই ছিল না এবং তাদের কিছু চিকিৎসার প্রয়োজন পড়েনি। আমরা তাদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেছিলাম এবং তারা লাগাতার নজরদারির মধ্যে ছিল।
গোটা দেশে ওমিক্রন এর এখনো পর্যন্ত ৩৪৬ টি মামলা সামনে এসেছে। মহারাষ্ট্রে ৮৮, দিল্লিতে ৫৭ এবং তেলেঙ্গানায় ২৪, সবচেয়ে বেশি মামলা রয়েছে। ওমিক্রনে এখনও পর্যন্ত একজনের বেশি রোগী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। করোনার নতুন সংকট থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মানুষকে সতর্ক করেছেন। সাবধান থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ওপর ও ভ্যাকসিনেশনের ওপর জোর দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ট্যুইট করে জানিয়েছেন যে দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সমীক্ষা করা হয়েছে। বিশেষ করে ওমিক্রন উপর নজর রাখা হচ্ছে। আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরে বিশ্বাস রয়েছে। পরিষেবা আরও বেশি ভালো করার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ফুল ভ্যাকসিনেশন এবং টিকাকরণের কভারেজ এর উপর নজর দেওয়া হচ্ছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম বার আমেরিকানের সনাক্ত করা ডাক্তার অ্যাঞ্জেলিকে কোয়েটজি মঙ্গলবার জানিয়েছেন, যে তাদের দেশে ওমিক্রন সংক্রমিত রোগীদের সামান্য চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। সংক্রমণের খোঁজ পাওয়ার পর রোগীদের হালকা ওষুধ এর ডোজ দেওয়া হলে তারা সুস্থ হয়ে উঠছেন। তাদের মাংসপেশি ব্যথা এবং মাথা ব্যথা কমে যাচ্ছে। তাদের অক্সিজেন কিংবা এন্টিবায়োটিক এর প্রয়োজন পড়ছে না।