ভয়াবহ আকার ধারণ করছে করোনা (Corona)। গতবছর থেকে এপর্যন্ত গোটা করোনা কালে এই প্রথমবার ১ লক্ষ ২৫ হাজার ছাড়াল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে তারমধ্যেই উঠেছে ভ্যাকসিন (Vaccine) ঘাটতির অভিযোগ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে দেখা দিয়েছে বিরোধে আবহ। মহারাষ্ট্র ও অন্ধ্রপ্রদেশের তরফে বলা হয়েছে তারা কেন্দ্রকে ভ্যাকসিনের ঘাটতির কথা জানিয়েছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের ঘাটতি সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে জানাচ্ছে ছত্তীসগঢ় ও ওডিশাও।
যদিও কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে যে ভ্যাকসিনের কোনও ঘাটতি নেই এবং রাজ্যগুলিকে প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা হবে। এছাড়াও সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১০০ জন বেনিফিশিয়ারি থাকলে সরকারি ও বেসরকারি কর্মস্থলগুলিতে টিকাকরণ কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হবে। এমনকি এর জন্য সমস্ত রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে আগামী ১১ এপ্রিলের মধ্যে প্রস্তুত থাকার কথাও বলা হয়েছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মাসের মাঝামাঝি থেকেই ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। পাশাপাশি কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯২.১১ শতাংশয়। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র, ছত্তীসগঢ়, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাডু ও কেরলের করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। বুধবার দেশে করোনায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। তারমধ্যে শুধু মাত্র মহারাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯,৯০৭ জন। পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ে ১০,৩১০ জন, কর্ণাটকে ৬,৯৭৬ জন, উত্তরপ্রদেশে ৬,০২৩ জন, দিল্লিতে ৫,৫০৬ জন, মধ্যপ্রদেশে ৪,০৪৩ জন, গুজরাটে ৩,৫৭৫ জন, কেরলে ৩, ৫০২ জন, তামিলনাডুতে ৩,৯৮৬ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ২,৩৯০ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য রাজ্যেও নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার ছত্তীসগঢ়ের রায়পুরে আগামী ৯ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত ফের সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের আরও বেশকয়েকটি জায়গায় নাইট কারফিউ এবং অন্যান্য কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে ৭৫ বছরে উর্ধ্বে এবং যাঁরা টিকাকরণ কেন্দ্রে যেতে পারছেন না তাঁদের জন্য ডোর টু ডোর ভ্যাকসিনেশন সংক্রান্ত একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়ে বম্বে হাইকোর্ট।