১২ বছর বয়সী বাচ্চার মায়েদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার রাজ্যের

১২ বছর যে সব বাচ্চার বয়স তাদের মায়েদের করোনার টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

Advertisement
১২ বছর বয়সী বাচ্চার মায়েদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার রাজ্যেরভ্যাকসিনেশন
হাইলাইটস
  • ১২ বছর পর্যন্ত যাদের বয়স, তাদের মায়েদের করোনার টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে
  • আজ নবান্নে ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী

করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে দেশে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের অনেকেই বলছেন এই ঢেউয়ে বাচ্চাদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেদিকে খেয়াল রেখে ১২ বছর যে সব বাচ্চার বয়স তাদের মায়েদের করোনার টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আজ নবান্নে ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। 

হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানান, ০ থেকে ১৮ বছর বয়স্কদের এখনও ভ্যাকসিনেশন শুরু হয়নি। কিন্তু, তৃতীয় ঢেউয়ে তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। সেকারণে, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যে সব বাচ্চার বয়স ১২ বছর পর্যন্ত, তাদের মায়েদের ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জেলাশাসকদের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এটা নিয়ে কাজ করছেন। কোথায় ভ্যাকসিনেশন হবে, কবে হবে এই সব বিস্তারিত জানানো হবে। 

আরও পড়ুন : আসছে করোনার 'সুপার ভ্যাকসিন', এর কী কী উপকারিতা?

তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় রাজ্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও দাবি করেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। জানান, করোনার প্রথম ঢেউয়ের পর থেকেই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাাঠামোর উন্নতি করা হয়েছে। যা কাজে লাগবে তৃতীয় ঢেওয়ে। তাঁর কথায়, 'ডাক্তার, নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফের সংখ্যা আগের থেকে অনেক বাড়ানো হয়েছে। অনেক সেফ হোম ও স্যাটিলাইট সেন্টার করা হয়েছিল। ৩০ হাজারের থেকে বেশি বেডসংখ্যা বাড়ানো হয়েছিল। আইসিইউ বা ওই ধরনের পরিকাঠামোর উন্নতি করা হয়েছিল।

রাজ্যের মুখ্যসচিবের ঘোষণা, তৃতীয় ওয়েবের জন্য বাচ্চাদের হাসপাতালের বেড,  আইসিইউ, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি বাড়ানো হচ্ছে। ১৩০০ পেডিয়াট্রিক আইসিইউ গড়ে তোলা হবে জুলাই মাসের মধ্যে। ৩৫০টি এসএনসিইউ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ১-৯০ দিন বয়সী বাচ্চাদের জন্য ৩৫০টি এসএনসিইউ গড়ে তোলা হবে জুলাইয়ের মধ্যে। 

আজকের সাংবাদিক বৈঠক থেকে রাজ্যের বর্তমান করোনা পরিস্থিতিন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যসচিব। জানান, দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সংক্রমণও কমেছে অনেকটাই। করোনা মোকাবিলায় রাজ্য়জুড়ে ২৫০টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন গড়ে তোলা হয়েছে। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement