স্কুল খুলতেই বিপত্তি
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিধি নিষেধ শিথিলতা শুরু হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় এখনও কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। স্কুল খোলার ব্যাপারে গোটা দেশেই চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক স্থিতি ধরে রাখতে স্কুল খুলতে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাও। পার্লামেন্টেও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে স্কুল খোলার পক্ষেই রিপোর্ট জমা করা হয়েছে। কিন্তু বেঙ্গালুরু স্কুল খুলতেই বিপত্তি।
অনলাইন পদ্ধতিই কি আশু ভবিষ্যৎ ছাত্রছাত্রীদের !
বেঙ্গালুরুতে গত এক সপ্তাহে ৩০০ বাচ্চা করোনা পজিটিভ হয়ে গিয়েছে এক ধাক্কায়। যার ফলে স্কুল খোলা রাখা কতটা সমীচীন হবে তা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এই উদাহরণকে সামনে রেখে অন্য রাজ্যগুলির যদি ফের স্কুল খোলা পিছিয়ে দেয়, তাহলে বাচ্চাদের বাড়িতে রেখে পড়াশুনোর অনলাইন পদ্ধতি আরো দীর্ঘায়িত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনার তৃতীয় ওয়েভ দেশে !
দেশে করোনা ভাইরাস এর দাপট এখনও পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়নি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। তার মধ্যেই নতুন করে বাচ্চাদের উপর আক্রমণের সংখ্যা সামনে এসেছে। যা ইতিপূর্বে এখনও পর্যন্ত হয়নি। তাহলে কি যে আশঙ্কার কথা মনে করা হচ্ছিল, সেই তৃতীয় ওয়েভ ঢুকে পড়ল বেঙ্গালুরুর হাত ধরেই ! এই চিন্তাই এখন মাথায় আঘাত করছে বিশেষজ্ঞদের এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। ফলে বাচ্চাদের স্কুল পাঠানো কতটা যুক্তিযুক্ত হবে এবং স্কুল খোলা রাখাই বা কতটা সমীচীন হবে, তা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
বেঙ্গালুরুতে স্কুলের পড়ুয়াদের ওপর করোনার দাপট
করোনার প্রকোপ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল। দ্বিতীয় ওয়েভ অনেকটাই এখন ফিকে। সেই সুযোগে বিভিন্ন জায়গায় স্কুল খোলার বিষয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা শুরু করা হয়। কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে বিভিন্ন এলাকায় স্কুল খোলা শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু স্কুল খুলতে বিপত্তি। এক সপ্তাহে প্রায় ৩০০ জন বাচ্চা বেঙ্গালুরুতে করোনা পজিটিভ হয়েছেন। ডিপোর সামনে আসতেই ফের হইচই শুরু হয়েছে গোটা দেশে। বাচ্চাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল চালিয়ে যাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত তা দিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।
আশঙ্কায় গোটা দেশ
বেঙ্গালুরুর মতো বড় শহরে এই ঘটনায় আরও অন্য় শহরগুলিও চিন্তায় পড়েছে। একটি তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দিনে ৩০০ বাচ্চা করোনা পজিটিভ হওয়ার পিছনে এতজন কচিকাঁচা একত্রিত হওয়ার ঘটনায় সামনে আনা হচ্ছে।
শিশুদের থেকে কিশোরদের সংখ্যা বেশি
যে সমস্ত স্কুল পড়ুয়ারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১২৭ জন ৯ বছরের মধ্যে, এবং ১০ থেকে ১৯ সালের মধ্যে ১৭৪ জন বাচ্চা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে ৫ থেকে ১০ অগাস্ট পর্যন্ত এই হিসাব মিলেছে।
অন্য় রাজ্য়েও আক্রান্তের হদিশ মিলেছে
কর্ণাটক থেকে শুরু করে উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় স্কুল, কলেজ খোলার পর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। হিমাচল প্রদেশের প্রায় ৬২ জন ছাত্র কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে বলে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। পঞ্জাবে ২৭ জন স্কুলছাত্রের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ফের কড়াকড়ির দাবি
এই খবর সামনে আসতেই সরকারের তরফে আরও একবার কড়াকড়ি শুরু করা হয়েছে। হিমাচলপ্রদেশে এখন ২২ অগাস্ট পর্যন্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশর দাবি জানানো হয়েছে। পাঞ্জাবে স্কুলের কড়াকড়ি নির্দেশিকায় পালনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আবার স্কুলগুলি বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।