চেহারা এবং রং বদল বদলাতে সিদ্ধহস্ত করোনা রোগ এখন নতুন ভ্যারিয়েন্ট সামনে এসেছে। করোনার এই নতুন ভেরিয়েন্ট বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠন (WHO) নাম দিয়েছে। করোনারি ভ্যারিয়েন্ট পৃথিবীকে নতুন করে টেনশনে ফেলে দিয়েছে। করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট সাধারণত সংগঠন ডব্লিউটিও'র মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে আলোচনার তুঙ্গে ছিল। যার কারণে সাম্প্রতিক টাটকা পরিস্থিতিতে মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
WTO তরফ থেকে বিবৃতি জারি করা হয়েছে। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের সমস্ত সদস্যদের মহামারীর কারণে সদস্যদের মধ্যে বহু মন্ত্রীদের জেনেভা পৌঁছাতে সমস্যা হতে পারে। সেটা আগেভাগে অনুমান করে তা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কনফারেন্সের আয়োজন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, করোনার কারণে নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হওয়া পরিস্থিতিতে বহু দেশে স্বাস্থ্য যাত্রা প্রতিবন্ধকতা লাগু করেছে। আমেরিকার সাথে ইউরোপীয় দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা উড়ান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আফ্রিকা এবং আশপাশের দেশগুলি থেকে সমস্ত রকম যাতায়াতের যাত্রীদের ওপর কোয়ারেন্টাইন অনিবার্য করে দেওয়া হয়েছে। কানাডার সরকার গত দুই সপ্তাহ ধরে আফ্রিকার দেশ থেকে আসা যাত্রীদের করোনা টেস্ট করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিপোর্ট আসা পর্যন্ত তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের নতুন ভ্যারিয়েন্ট
এখনো পর্যন্ত একটাও কেস পাওয়া যায়নি। করোনা ভাইরাস এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট এর ভয়াবহতা গোটা দুনিয়াতে দেখতে পাওয়া গেলেও এখনও পর্যন্ত ভারতে কিন্তু সেই ভ্যারিয়েন্ট-এ একজন রোগীকেও পাওয়া যায়নি। ভারতে করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। তার সমস্ত পুরনো ভ্যারিয়েন্ট এর সরকার অবশ্যই নিয়ে সর্তকতা জারি করে দিয়েছে। ভারতীয় সর্তকতা মেনে ব্রিটেনের দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং ইজরায়েলকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সূচিতে রাখা হয়েছে। এই সমস্ত দেশ থেকে আসা যাত্রীদের দিল্লি এয়ারপোর্ট কাজ করানো হচ্ছে। যাচাই করা এবং পরীক্ষাকারী ল্যাব এর দাবি, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট এখনো পর্যন্ত কোনও মামলা ভারতের সামনে আসেনি।
অন্যদিকে গোটা পৃথিবীতে সমস্ত দেশ যেখানে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়েছে, সেখানে ভারত সরকার ও একইভাবে তা শুরু করতে চলেছে। ভারত সরকারের তরফ থেকে ১১ দিন আগে বন্ধ হওয়া ইন্টারন্যাশনাল উড়ানগুলি ১৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। প্রকৃতপক্ষে নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রভাবিত দেশ থেকে আসা ফ্লাইটগুলি বন্ধ করে দেওয়ার দাবিও উঠতে শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শনিবার করোনা স্থিতিতে বৈঠক ডেকেছেন। এই বৈঠক চলছে অন্যদিকে দিল্লির সিএম অরবিন্দ কেজরিওয়াল পিএম মোদী থেকে এ সমস্ত দেশ গুলির ফ্লাইট এর উপর প্রতিবন্ধকতা দাবি করেছেন, যা নতুন ভ্যারিয়েন্ট প্রভাবিত দেশগুলি থেকে আসছে। এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও রকম নির্ণয় নেওয়া হয়নি। তবে আশা করা যাচ্ছে সেই বৈঠকে হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হবে।