ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, Omicron করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টের মতো মারাত্মক প্রাণঘাতী নয়। তবে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ডেল্টার তুলনায় প্রায় ৫০০ গুণ বেশি সংক্রামক! ঠিক সেই কারণেই বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতেও একই কারণে তীব্র গতিতে বেড়ে চলেছে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার।
ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের দাপটে শেষ তিন দিন ধরে ভারতে লক্ষাধিক মানুষ রোজ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৬৩২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু কেন এমন দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে Omicron? চলুন জেনে নেওয়া যাক এ প্রসঙ্গে ঠিক কী বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
আরও পড়ুন: দেশে Covid আক্রান্তের ৮০% ওমিক্রন, দাবি NTAGI চেয়ারম্যানের
গত শুক্রবার WHO-এর মহামারী বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ (Maria Van Kerkhove) ওমিক্রনের দ্রুত বিস্তারের তিনটি কারণ জানান। তিনি বলেন যে, ভাইরাসের সংস্পর্শ কমাতে এবং এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জনগণকে আরও ভাবতে হবে, আরও সতর্ক হতে হবে। গত সপ্তাহে করোনার রেকর্ড কেস নথিভুক্ত হয়েছে যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৭১ শতাংশ বেশি। ভ্যান কেরখোভ বলেন, নতুন ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট বিভিন্ন কারণে মানুষের মধ্যে এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: COVID LIVE: উত্তরপ্রদেশে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত ৭,৬৯৫, মৃত ৪
নি জানান যে, প্রথম, নতুন ভেরিয়েন্টের মিউটেশন ভাইরাসকে মানুষের কোষে সহজেই মিশে যেতে সাহায্য করে। দ্বিতীয়ত, নতুন ভেরিয়েন্টটির ইমিউন সিস্টেম এড়ানোর ক্ষমতাও রয়েছে। ফলে, মানুষের বার বার করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। অর্থাৎ, যাঁরা আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বা যাদের এর টিকা দেওয়া হয়েছে, তাঁদেরও ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে রোজ করোনায় আক্রান্ত হবেন ১০ লাখ! আরও কী কী বিপদ?
তৃতীয় একটি কারণ উল্লেখ করে কেরখভ বলেন, 'ওমিক্রনে আমরা ভাইরাসটিকে উপরের শ্বাস নালীর প্রতিলিপি করতে দেখছি, যেটি ডেল্টা বা আগের যে কোনও রূপের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। করোনার পূর্ববর্তী সবকটি স্ট্রেন ফুসফুসের নিম্ন শ্বসনতন্ত্রে প্রতিলিপি তৈরি করত, যা এর অগ্রগতিকে মন্থর করে দিত।
এই সব কারণ ছাড়াও মানুষের পরস্পরের মধ্যে বেশি মেলামেশার কারণেও ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞরা মানুষকে ভালো বায়ুচলাচল আছে এমন জায়গায় থাকার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। বন্ধ জায়গায় একসঙ্গে বসবাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, গত সপ্তাহে সারা বিশ্বে রেকর্ড ৯৫ লাখ করোনার কেস নথিভুক্ত হয়েছে।