রাজস্থানের যোধপুরে সাড়ম্বরে হয় বিয়ে। বিয়ের আট দিন হতে না হতেই কনের এমন সত্য সামনে এল, যে সকলেই তাজ্জব বনে গেল। যার সঙ্গে সাত জন্মের বাঁধনে বাধল, তাকেই লুঠপাট করে পালিয়ে যায় কনে। থানায় অভিযোগ করে বর, কনেকে খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
বনদ শহরের থানা এলাকার থাবুকদার বাসিন্দা ভোমারাম সনি পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করেন মহারাষ্ট্রের থানের বাসিন্দা রেণুকাকে ৪ অগাস্ট বিয়ে করেছিলেন তিনি। পালির কিছু লোক এই বিয়ে সম্পন্ন করতে মধ্যস্থতা করেছিল। ভোমারামের বিয়ের জন্য, তার বাবা মধ্যস্থতাকারীকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের ৮ দিন পরে, ১২ আগস্ট রাতে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয় রেণুকা।
ভোমারাম যখন স্ত্রীয়ের খোঁজ করতে থাকেন, তখন তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। তার মোবাইলেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু কোনওভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে ভোমারাম তার আলমারি খুলে দেখেন তাতে রাখা সোনা ও রুপার গয়না এবং ৪২ হাজার নগদ টাকা কিছুই নেই।
ভোমারাম পুলিশকে জানান, তিনি বাভারলার বাসিন্দা বিক্রম দাস সন্তের সঙ্গে প্রায় দেখা সাক্ষাৎ করতেন। বিক্রমই তাঁকে মহারাষ্ট্রের একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেয়। পালির বাসিন্দা পদ্মা শর্মা, পাপ্পু সিং বিলাদার বাসিন্দা ও গুলজার, করণ জৈন তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন বিয়ের জন্য ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।
ভোমারাম তাঁর পরিবারের সদস্যদের এই কথা জানানোর পর পরিবার রাজিও হয়েছিল। ৪ অগস্টেই টাকা দেওয়া হয়েছিল। সেদিনই অভিযুক্তের সঙ্গে রেণুকার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বিবাহ হয়েছিল যোধপুরের গণেশ মন্দিরে এবং এর পরে আদালতে একটি চুক্তিও হয়েছিল।
বিয়ের পর রেণুকাকে ভোমরামের সঙ্গে পাঠানো হয়। ভোমারামের অভিযোগ, তার বিয়ের পর, রেণুকা সমস্ত দালালদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখত। শুধুমাত্র অভিযুক্তের যোগসাজশে রেণুকা পালিয়ে গেছে। ভোমারামের রিপোর্ট অনুযায়ী পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।