scorecardresearch
 

UP: নৃশংস! ভাইকে খুন করে বস্তায় লাশ ভরে ফেলে দিল কিশোর

প্রথমে ভাইকে অপহরণ করে কিশোর। মুক্তিপণ চাওয়া ছক ছিল। এরপর ভয় পেয়ে খুন করে বস্তায় ভরে ফেলে দেয় নির্জন এলাকায়। নিখোঁজের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে হাড়হিম খুনের কিনারা করে পুলিশ। জানুন ঘটনা...

Advertisement
নিহত কিশোর নিহত কিশোর
হাইলাইটস
  • ভাইকে খুন করে বস্তায় লাশ ভরল ভাই
  • নির্জন জায়গা থেকে উদ্ধার মৃতদেহ
  • গ্রেফতার মাসতুতো দাদা ও দুই সঙ্গী

দিল্লির সঙ্গে লাগোয়া উত্তরপ্রদেশে অবস্থিত গাজিয়াবাদের খোঁড়া এলাকায় ১০ বছরের বাচ্চাকে অপহরণ করার পরে খুন করার ঘটনার বিষয় সামনে আসতে হতভম্ব গোটা দেশ। আর এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই নাবালকের মাসতুতো দাদা এমনটাই অভিযোগ উঠছে? পুলিশ অভিযুক্ত এবং তার দুই অন্য বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকে ওই কিশোরের মৃতদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করেছে। বাচ্চাটির মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরে পরিবারে লোকজন এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না। এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন।

১১ এপ্রিল রাত থেকে নিখোঁজ হর্ষ

গাজিয়াবাদের খোঁড়া থানা এলাকায় নেহেরু গার্ডেনে বাসিন্দা ১০ বছর বয়সে হর্স বৃতি ১১ তারিখ সন্ধ্যা থেকে আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায়। যার নিখোঁজের রিপোর্ট খোঁড়া থানা এলাকাতে দায়ের করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে যে ওই কিশোর নিজের মাসির ছেলের সঙ্গে ঘর থেকে বাইরে গিয়েছিল এবং তারপর রাত পর্যন্ত বাড়ি ফেরেনি। কিন্তু তার মাসতুতো ভাই বাড়িতে ফিরে আসে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও হর্ষের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষমেষ রাতে গাজিয়াবাদ পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয় তারপর তদন্তে নামে পুলিশ।

মাসতুতো দাদা ও বন্ধুরা খুন করে হর্ষকে

এ বিষয়ে পুলিশ নিখোঁজ হওয়া নাবালক বাচ্চারটির মাসতুতোকে সন্দেহের তালিকায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। থানার লকআপে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পুরো ঘটনাটি স্বীকার করে ওই কিশোর। সে জানায় বাচ্চাটিকে কিডন্যাপ করার পর অভিযুক্ত নাবালক ছেলেটি মুক্তিপণ দাবি করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু পরে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে সে এবং তার ২ অন্য বন্ধু মিলে ১০ বছর বয়সী নাবালককে খুন করে।

বস্তায় লাশ লুকিয়ে নির্জনে ফেলে দেয়

খুনের পর ক্রাইম থিলারের কায়দায় ছোট্ট হর্ষের মৃতদেহ বস্তায় বন্ধ করে লুকিয়ে ফেলে। পুলিশ এই হত্যার ঘটনায় ওই কিশোর এবং তার অন্য দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নেয়। যারা বাচ্চাটির মৃতদেহ বস্তার মধ্যে বন্ধ করে নয়ডার একটি নির্জন এলাকায় ফেলে দিয়েছিল। সঙ্গে অভিযুক্তরা জায়গাটা দেখিয়ে দেয়। যেখান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার শক থেকে এখনও বেরিয়ে আসতে পারেনি গোটা পরিবার। তারই নিজের ভাই এমন ঘটনা ঘটাতে পারে সেটিও বিশ্বাস করতে পারছেন না কেউ।

Advertisement
 

Advertisement