সরকারি কাজের জন্য কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বালুরঘাটের বিডিও এবং তার দফতরের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ তুলে জেলাশাসক-সহ একাধিক মন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল কন্ট্রাক্টদের একটি সংগঠন। সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে।
লিখিত অভিযোগ
এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশন তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুধুমাত্র বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদার নন, সেইসঙ্গে তাঁর অফিসের এক আধিকারিকের বিরুদ্ধেও কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলেছে ওই সংগঠন। এবং লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বালুরঘাট ব্লকের বিডিও, এক ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ কন্ট্রাক্টরদের।
৫ শতাংশ টাকা
অভিযোগ, প্রত্যেক কাজের দরপত্র নেওয়া থেকে কাজ পাওয়া ও কাজের পর পেমেন্ট পাওয়া পর্যন্ত বিডিও এবং অফিসের আর এক আধিকারিকের কাছে টাকা দিতে হয় কন্ট্রাক্টরদের। প্রত্যেক কাজে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ টাকা দিতে হয়।
টাকা না দিলে কাজ নয়
দক্ষিণ দিনাজপুর কন্ট্রাক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিরাজ দাসের আরও অভিযোগ, আর টাকা না দিলে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা বা কাজের টাকা পেতে বিভিন্ন রকম ভাবে সমস্যা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০-৩০ জন ঠিকাদারের টাকা আটকে রাখা হয়েছে বিডিও অফিসে।
সেই টাকা চাইতে গেলেই কাটমানি চাওয়া হচ্ছে। কাটমানি দিলে কাজ পাচ্ছেন ও টাকাও পাচ্ছেন। কাটমানি না দিলেই সমস্যা করছেন বিডিও। এমনই অভিযোগ তুলে এদিন জেলা শাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ অস্বীকার
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বালুরঘাট ব্লকের বিডিও অনুজ শিকদার ৷ তিনি উল্টে দাবি করেন, যা নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে সেই অভিযোগই পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ নেই। দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অনলাইনে হয় তাই এমন কোনও অভিযোগ ওঠার কথায় নয়৷
বিডিওর আরও দাবি
তিনি আরও দাবি করেন, এ ছাড়াও কোনও এজেন্সিকেই তাঁর দফতরে প্রবেশ করতে দেন না। তাই কাটমানি চাওয়া বা টাকা চাওয়ার ঘটনা হতেই পারে না। অন্যদিকে, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক আয়েশা রানি।
প্রতিবেদক: মৃদুল হোড়