কোথাও বাবা-মেয়ে, কোথাও স্বামী-স্ত্রী আবার কোথাও বা বাবা এবং ছেলে। বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় এমন উদাহরণ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তৃণমূল পরিবারতন্ত্রকে জোর দিচ্ছে।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেছেন। রাজ্যের ২৯৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের লড়াই করবে ২৯১টি-তে। বাকি তিনটে রাখা হচ্ছে 'বন্ধু'দের জন্য। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ কথা জানিয়েছিলেন। ওই তিনটি আসন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জন্য ছাড়া হয়েছে বলে খবর। মোর্চার প্রাক্তন প্রধান বিমল গুরুং তৃণমূলকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছিলেন।
এবার তৃণমূলের প্রার্থীতালিকা দেখলে দেখা যাবে, একই পরিবার থেকে একাধিক সদস্য বিধানসভা ভোটে টিকিট পেয়েছেন। আর তাই শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ উঠছে।
যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনা মহেশতলা থেকে লড়বেন দুলাল দাস। ওই আসনে আগের বিধায়ক ছিলেন তার স্ত্রী কস্তুরী দাস। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর সেখানে উপনির্বাচনে দুলালবাবু জেতেন। এবং তিনি সেখানকার বিধায়ক নির্বাচিত হন। এবারও তিনি লড়বেন ওই কেন্দ্র থেকে।
আর বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকে লড়বেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। এর আগে ওই কেন্দ্রে তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। যিনি রত্নার স্বামী। কিন্তু শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
এমনই একটি উদাহরণ দেখা যাচ্ছে নদিয়াতে। সেখানে শঙ্কর সিং লড়বেন রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম আসন থেকে। তিনি সেখানকারই বিধায়ক। তবে ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হয়ে তিনি জিতেছিলেন। পরে যোগদান করেন তৃণমূলে।
তাঁর ছেলে শুভঙ্করকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল। তাঁর ডাকনাম জিশু। তিনি লড়বেন চাকদা কেন্দ্র থেকে। চাকদার এখনকার বিধায়ক রত্না কর ঘোষকে টিকিট দেওয়া হয়নি। তিনি রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্প দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী।
হুগলিতেও এমন এক উদাহরণ রয়েছে। সেখানকার সিঙ্গুর আসন থেকে লড়বেন বেচারাম মান্না। এই কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূলেরই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তবে এবার তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি।
এদিকে, বেচারাম মান্নার স্ত্রীকে এবার প্রথম টিকিট দেওয়া হয়েছে। তাঁর স্ত্রী করবী মান্না হরিপাল থেকে তৃণমূলের হয়ে লড়ছে। আর বেচারামকে দেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের আসন, সিঙ্গুর।