scorecardresearch
 

Birbhum Santiniketan : শান্তিনিকেতনে প্রতিবেশীর ছাদে নিখোঁজ শিশুর দেহ, ব্যাপক উত্তেজনা

২ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল নিখোঁজ শিশুর দেহ। গত রবিবার সকাল থেকে শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামের টালিপাড়া থেকে নিখোঁজ হয় বছর পাঁচের এক নাবালক। নাম শিবম ঠাকুর ৷

Advertisement
ঘটনাস্থলের ছবি ঘটনাস্থলের ছবি
হাইলাইটস
  • ২ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল নিখোঁজ শিশুর দেহ
  • রবিবার সকাল থেকে শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামের টালিপাড়া থেকে নিখোঁজ হয় বছর পাঁচের এক নাবালক

২ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল নিখোঁজ শিশুর দেহ। গত রবিবার সকাল থেকে শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামের টালিপাড়া থেকে নিখোঁজ হয় বছর পাঁচের এক নাবালক। নাম শিবম ঠাকুর ৷ সেদিন ও বাড়ির কাছে এক মুদি দোকানে গিয়েছিল। গ্রামের রাস্তা থেকেই নিখোঁজ হয়ে যায়। 

মৃত শিশুর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, যে বাড়ির ছাদ থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে তারাই শিবমকে খুন করেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে ওই ছাদ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়। অভিযোগ, রবিবার শিবম বিস্কুট কিনতে এসেছিল। সেখান থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। তারপর খুন করা হয়। খুনের পর ছাদেই গত ২ দিন ধরে দেহ ফেলে রাখা হয়। 

আরও পড়ুন : যাওয়া-খাওয়া খরচ মাত্র ৫০০ টাকা, পুজোর মাঝেই ঘুরে আসুন এই ৩ টুরিস্ট স্পট

এদিন দুপুরে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তারাই ছাদে যায়। সেখানে দেখে, টিন ও ত্রিপল ঢাকা দেওয়া অবস্থায় শিশুটির মৃতদেহ রয়েছে। তারাই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে। 

বীরভূমের পুলিশ সুপার বলেন, '১৮ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল। দুপুর দেড়টার পরই টিম বানানো হয়। মোট ৬টা টিম করা হয়েছিল। সব বাড়িতেই তল্লাশি চালানো হয়। স্নিফার ডগও আনা হয়েছিল। তখন পাওয়া যায়নি। যে বাড়ি থেকে দেহ মিলেছে সেই বাড়িতেও সেদিন সার্চ করা হয়েছিল। আনা হয়েছিল পুলিশ কুকুরও। এখানেই শেষ নয়। ঘটনাস্থলের ২ কিলোমিটারের মধ্যে নজরদারি চালানো হচ্ছিল।' 

পুলিশ সুপার আরও বলেন, 'যিনি অভিযুক্ত তাঁকে জেরা করা হবে। গতকালও সার্চ হয়েছে। তবে তখনও কিছু পাওয়া যায়নি। এই খুনের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে এই গোটা ঘটনা হল তা দেখা হচ্ছে।'  

Advertisement
ঘটনাস্থলের ছবি
ঘটনাস্থলের ছবি

এদিকে দেহ উদ্ধারের পর গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবেশীরা ভাঙচুর চালায় সেই বাড়িতে। গ্রামবাসীর একাংশ  পাঁচিল টপকে বাড়ির ছাদে উঠেও ভাঙচুল চালায়। 

আরও পড়ুন : কয়েকদিনের মধ্যে আবহাওয়ার বিরাট বদল, মহালয়ায় বৃষ্টি হবে?

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই বাড়ির লোকজনের প্রতি সন্দেহ ছিল শিশুর মায়ের ।কারণ দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ চলছিল। পুলিশকে সেকথা জানানোও হয়েছিল। পুলিশ গিয়েছিল সেই বাড়িতে। কিন্তু, সেখানে কোনও দেহ খুঁজে পায়নি। এরপর আজ দুপুরে দেহ উদ্ধার হয়। এলাকার পরিস্থিতি এতটাই উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে যায় যে, বিশাল পুলিশ বাহিনী নামানো হয়। 

এর আগে ওই গ্রাম-সহ আশেপাশের গ্রামে চিরুনি তল্লাশি চালানো হয় ৷ পুলিশ কুকুর এনেও তদন্ত করে। কিন্তু ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরও কোনওরকম কিনারা করতে পারেনি বীরভূম পুলিশ। তারপর থেকেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। 

বীরভূমের পুলিশ সুপার বলেন, '১৮ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল। দুপুর দেড়টার পরই টিম বানানো হয়। মোট ৬টা টিম করা হয়েছিল। সব বাড়িতেই তল্লাশি চালানো হয়। স্নিফার ডগও আনা হয়েছিল। তখন পাওয়া যায়নি। যে বাড়ি থেকে দেহ মিলেছে সেই বাড়িতেও সেদিন সার্চ করা হয়েছিল। আনা হয়েছিল পুলিশ কুকুরও। এখানেই শেষ নয়। ঘটনাস্থলের ২ কিলোমিটারের মধ্যে নজরদারি চালানো হচ্ছিল।' 

পুলিশ সুপার আরও বলেন, 'যিনি অভিযুক্ত তাঁকে জেরা করা হবে। গতকালও সার্চ হয়েছে। তবে তখনও কিছু পাওয়া যায়নি। এই খুনের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে এই গোটা ঘটনা হল তা দেখা হচ্ছে।'  

Advertisement