নিজের বাড়ির শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর গলা কাটা দেহ। যা দেখে শিউরে উঠেছেন এলাকার বাসিন্দারা। পড়শিদের অনেকে ঘটনার ভয়াবহতা ও নৃশংসতা দেখে 'থ' হয়ে গিয়েছেন। মঙ্গললবার সকালে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ রহস্য উদ্ঘাটনে (NJP) ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
আরও পড়ুনঃ দেহ ৭২ টুকরো করে ফ্রিজে রেখেছিল স্বামী, অনুপমার পরিণতিও শ্রদ্ধারই মতো
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি লাগোয়া জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ফুলবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জেলা জলপাইগুড়ি হলেও এলাকাটি শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এনজেপি থানার অধীন। এলাকার নাম চতুরাগছ খাটাল বস্তি। সোমবার গভীর রাতে বাড়িতেই খুন হয়েছেন ওই মহিলা বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রিয়া বিশ্বাস। মৃতার স্বামীর নাম অমিয় বিশ্বাস। অমিয় তার স্ত্রী রিয়া ও তাদের পাঁচ বছরের পুত্র সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। তাদের মূল বাড়ি নদিয়া জেলায়। কালীপুজোর পর তাদের সঙ্গে থাকতে আসেন অমিয়র এক ভাইও। দুই ভাইই কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। রবিবারই মাকে আনার কথা বলে দুই ভাই নদিয়া গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শিশু সন্তানকে নিয়ে একাই বাড়িতে ছিলেন রিয়া। মঙ্গলবার ভোর তিনটা নাগাদ শিশুটির কান্না শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। শিশুটি তাঁদের জানায় মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিবেশীরা খুঁজতে গিয়ে দেখেন বাড়ির শৌচালয়ের মধ্যে ওই মহিলার গলার নলি কাটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ হুহু করে কমছে তাপমাত্রা, তার মধ্যেই উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পূর্ব) সুভেন্দ্র কুমার, নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ বাহিনী ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এসিপি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব পঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায় জানিয়েছেন,একজন মহিলা এভাবে খুন হয়ে গেল তা ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছি। পুলিশের কাছে আবেদন করব দ্রুত বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে। ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন বলেও জানান তিনি।