scorecardresearch
 

Anupama Gulati Murder Case: দেহ ৭২ টুকরো করে ফ্রিজে রেখেছিল স্বামী, অনুপমার পরিণতিও শ্রদ্ধারই মতো

Anupama Gulati Murder Case: স্বামীর হাতে খুন, ৭২ টুকরো করে ফ্রিজে রাখা হয় লাশ, শ্রদ্ধার মতোই ভয়ঙ্কর অনুপমার গল্প। দিল্লির আফতাব, তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুনের ঘটনা গোটা দেশকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। ঠিক সেভাবেই ঘটেছিল ১২ বছর আগের এই ঘটনা।

Advertisement
দেহ ৭২ টুকরো করে ফ্রিজে রেখেছিল স্বামী, অনুপমার পরিণতিও শ্রদ্ধারই মতো দেহ ৭২ টুকরো করে ফ্রিজে রেখেছিল স্বামী, অনুপমার পরিণতিও শ্রদ্ধারই মতো
হাইলাইটস
  • শ্রদ্ধার মতোই ভয়ঙ্কর অনুপমার গল্প
  • খুন করে ৭২ টুকরো করে ফ্রিজে রাখা হয় লাশ
  • স্বামীর হাতে খুুন হন দেরাদুনের অনুপমা

Anupama Gulati Murder Case: রাজধানী দিল্লিতে হওয়ার শ্রদ্ধা মার্ডার কেস নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। ঘটনার ভয়াবহতায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ।তারই মাঝে স্মৃতির পাতায় উঁকি দিয়ে যাচ্ছে বছর ১২ আগের এমনই একটি ঘটনা। দেরাদুনের চর্চিত অনুপমা গুলাটি হত্যাকাণ্ড (Anupama Gulati Murder Case) নিয়ে এমনই তোলপাড় হয়েছিল দেশ। সেই ঘটনাকে ফের একবার সামনে নিয়ে চলে এসেছে শ্রদ্ধা মার্ডার কেস (Shraddha Murder Case)। দেবভূমির শান্ত দুনঘাটিতে ২০১০ সালে এরকমই একটি ঘটনা ঘটেছিল। ১৭ অক্টোবর ২০১০ অনুপমার স্বামী রাজেশ গুলাটি তাঁর স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বকাপ ফুটবলে কোন দল কবে নামছে খেলতে ? রইল সম্পূর্ণ সূচি

শুধু তাই নয় জঘন্যতম এই হত্যার পরে স্বামী রাজেশ, স্ত্রী অনুপমার মৃতদেহকে ৭২ টুকরো করে ডিপ ফ্রিজারে রেখে দিয়েছিল। নিজের বোনের বেশ কিছুদিন ধরে কোনও খবর না পাওয়াতে যখন ভাই সূরজ ১২ ডিসেম্বর ২০১০ দিল্লি থেকে দেরাদুন পৌঁছন বোনের খোঁজ নেওয়ার জন্য, তখন এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসে। ২০১১তে এভাবে দেরাদুন পুলিশ কোর্টে চার্জশিট দাখিল করে।

১৯৯৯ সালে রাজেশ এবং অনুপমার লাভ ম্যারেজ হয়েছিল

অভিযোগে জানানো হয়, অনুপমা এবং রাজেশ গুলাটির মধ্যে তাই ঝগড়া লেগে থাকত এবং হত্যার দিন ঝগড়ার সময় অনুপমার ধাক্কা লেগে খাটের কোনায় মাথার বাড়ি লাগে। এরপরে রাজেশ, অনুপমাকে বালিশ চাপা দিয়ে নিঃশ্বাস বন্ধ করে খুন করে।

অনুপমা দিল্লির বাসিন্দা এবং তাকে রাজেশ ১৯৯৯ সালে প্রেম করে বিয়ে করেন। রাজেশ পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। দেরাদুনের প্রকাশনগরে নিজের বাচ্চার সাথে গুলাটি দম্পতি থাকতেন। ২০০০ সালে আমেরিকা চলে গিয়েছিলেন দুজনে। ছয় বছর পর ফেরত আসেন এবং এরপরের দেরাদুনেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। হত্যার সময় গুলাটি দম্পতির দুই বাচ্চার বয়স ছিল মাত্র চার বছর।

Advertisement

আরও পড়ুনঃ পাহাড় সহ উত্তরবঙ্গে কনকনে ঠান্ডা, দার্জিলিঙে কত চলছে?

হলিউডের মুভি থেকে এই প্ল্যান করে রাজেশ

একটি হলিউডের সিনেমা দেখে রাজেশ, অনুপমার হত্যার এই প্ল্যান করে। কেউ ভাবতেও পারিনি যে লাভ ম্যারেজের এই পরিণতি হবে। অপরাধ লুকানোর জন্য রাজেশ একটা ফ্রিজার কেনে। সেখানে মৃতদেহ ঢুকিয়ে রাখে। দেহ জনে বরফ হয়ে গেলে কাঠ কাটার ইলেকট্রিক করাত দিয়ে দেহকে টুকরো করতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে জঙ্গলে ফেলতে থাকে। ২০১৭ সালের দেরাদুনের জেলা সদর আদালতে এই ঘটনার জঘন্য অপরাধের শ্রেণিতে রাখা হয় এবং যাবজ্জীবন সাজা শোনানো হয়। সেখান থেকে যখন মামলা হাইকোর্টে পৌঁছায়, তখনও রাজেশ গুলাটিকে জামিন দেওয়া হয়নি। এখন সাজা কাটছে রাজেশ। দিল্লির আফতাবও তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে এভাবেই টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দিয়েছিল। যা সামনে আসার পর এই এক যুগ আগের ঘটনা সামনে উঠে এসেছে।

 

Advertisement