scorecardresearch
 

জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডে প্রতারণার অভিযোগ, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ CBI-এর

২০১০ সালে ২৮ মে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় দেড়শ জনের। সেই দুর্ঘটনাতেই জীবিত থাকার পরেও নিজেকে মৃত হিসেবে দেখানোর অভিযোগ ওঠে অমিতাভ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নিজেকে মৃত হিসেবে দেখিয়ে রেলের ক্ষতিপূরণ ও চাকরির সুযোগ নেন অমিতাত ও তাঁর বাবা। এরপর গত শুক্রবার রাতে তাঁদের আটক করে সিবিআই। 

Advertisement
ধৃত অমিতাভ চৌধুরী ধৃত অমিতাভ চৌধুরী
হাইলাইটস
  • জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডে প্রতারণা করে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার অভিযোগ
  • সিবিআই-এর হাতে ধৃত বাবা ছেলে
  • ফাঁচানো হয়েছে বলে দাবি অভিযুক্তের

জ্ঞানেশ্বরীকাণ্ডে (Jnaneswari Express Train Derailment) রেলের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে ধৃত অমিতাভ চৌধুরীকে নিজাম প্যালেস জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর। যদিও তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি ধৃত অমিতাভ চৌধুরীর। একইসঙ্গে জোড়াবাগান এলাকায় ধৃতের প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসবাদ করেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। তল্লাশি চালান হয় ওই ব্যক্তির ঘরেও। 

২০১০ সালে ২৮ মে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় প্রায় দেড়শ জনের। সেই দুর্ঘটনাতেই জীবিত থাকার পরেও নিজেকে মৃত হিসেবে দেখানোর অভিযোগ ওঠে অমিতাভ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নিজেকে মৃত হিসেবে দেখিয়ে রেলের ক্ষতিপূরণ ও চাকরির সুযোগ নেন অমিতাত ও তাঁর বাবা। এরপর গত শুক্রবার রাতে তাঁদের আটক করে সিবিআই। 

রবিবার অভিযুক্ত অমিতভাকেই নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই কর্তারা। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করার পাশাপাশি তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন ধৃত ব্য়ক্তি। অন্যদিকে আবার অভিযুক্ত অমিতাভ চৌধুরীর বাবা এই ভুয়ো তথ্যের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রে খবর। 

এদিকে ধৃত এই ব্যক্তি আদতেই অমিতাভ চৌধুরী কি না তা জানতে জোড়াবাগান এলাকায় এদিন তাঁর প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসাররা। তল্লাশি চালান হয় অমিতাভর ঘরে। এমনকী তাঁর পুরনো ছবি নিয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গেও কথা বলেন সিসিআই কর্তারা। 

১১ বছর আগে হাওড়া থেকে মুম্বই যাওয়ার পথে লাইনচ্যূত হয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। ট্রেনটি লাইনচ্যূত হওয়ার পর উল্টোদিন থেকে আসা একটি মালগাড়ির সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ হয়। সেই সময় মৃতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও চাকরির আশ্বাস দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহন করে রাজ্য। সেখানেই ভুয়ো তথ্য দিয়ে ক্ষতিপূরণের অর্থ ও চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে অমিতাভ চৌধুরী ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে। 

Advertisement

 

Advertisement