কোমরের বেল্টে বিশেষ চেম্বার বানিয়ে সোনা পাচারের আগে নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকেরা। ধৃতদের শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে শিলিগুড়ি জেলা আদালত।
কোমরের বেল্টে সোনার বিস্কুট পাচারের পরিকল্পনা
ট্রেনে করে সোনা পাচারের চেষ্টা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এনজেপি রেল স্টেশনে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার সোনার বিস্কুট পাচারের আগেই উদ্ধার করল ডিআরআই। কোমরের বেল্টে সোনার বিস্কুট পাচারের পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতিদের। সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দেয় ডিআরআই। ডিআরআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় মদন সন্নাসী ও পার্থ সন্নাসী নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ডিআরআই। দুজনেই দক্ষিন দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা।
প্রায় এক কোটি টাকার সোনা
অভিযানে উদ্ধার হয়েছে ১ কেজি ৯৯২ গ্রাম সোনা ৷ যার বাজার মূল্য ৯৫ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। উদ্ধার হওয়া সোনা ইন্দো-মায়ানমার থেকে ওই সোনা মণিপুর থেকে অসমে প্রবেশ করে। অসমের গুয়াহাটি থেকে সরাইঘাট এক্সপ্রেসে করে ওই দুই যুবক কোমরের বেল্টে সোনা লুকিয়ে এনজেপি উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ওই দুজন শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি রেল স্টেশনে প্রবেশ করতেই অভিযান চালায় ডিআরআই। প্রথমে সন্দেহভাজন ওই যুবককে আটক করে ডিআরআই আধিকারিকরা। তাদের তল্লাশি চালালে কোমরের বেল্ট থেকে উদ্ধার হয় ওই সোনার বিস্কুট।
মালদায় পাচার করা হচ্ছিল
সূত্রের খবর, ধৃত দুজনের কোমরের বেল্টে ছটি করে সোনার বিস্কুট লুকিয়ে রাখা ছিল। প্রতিটি বিস্কুটের ওজন ১৬৬ গ্রাম করে। এরপর ধৃতদের গ্রেপ্তার করে আদালতে তোলা হয়। ওই সোনা মালদহে পাচারের উদ্দেশ্য ছিল পাচারকারীদের।
অস্ট্রেলিয়া কিংবা রাশিয়ার সোনা
ধৃতদের পক্ষের আইনজীবী অখিল বিশ্বাস বলেন, "উদ্ধার হওয়া সোনা ডিআরআই বিদেশের বলে দাবি করলেও তা ভিত্তিহীন।" উদ্ধার হওয়া সোনা অস্ট্রেলিয়া বা রাশিয়ার বলে প্রাথমিক অনুমান তদন্তকারী সংস্থার। সোনার উপরে থাকা মার্কিংয়ের সূত্র ধরে পরবর্তী তদন্ত শুরু করেছে ডিআরআই।