DGP Murder Case : 'শয়তানটাকে শেষ করে ফেলেছি', বান্ধবীকে ফোন করে বলেছিলেন প্রাক্তন ডিজিপি-র স্ত্রী

কর্ণাটক পুলিশের প্রাক্তন ডিজি ওম প্রকাশকে খুন করেছেন তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ করলেন ওই দম্পতির ছেলে কার্তিকেশ। তাঁর দাবি, তাঁর মা পল্লবী মানসিকভাবে অসুস্থ।

Advertisement
'শয়তানটাকে শেষ করে ফেলেছি', বান্ধবীকে ফোন করে বলেছিলেন প্রাক্তন ডিজিপি-র স্ত্রী  Kerala Ex DGP Murder
হাইলাইটস
  • কর্ণাটক পুলিশের প্রাক্তন ডিজি ওম প্রকাশকে খুন করেছেন তাঁর স্ত্রী
  • অভিযোগ করলেন ওই দম্পতির ছেলে কার্তিকেশ

কর্ণাটক পুলিশের প্রাক্তন ডিজি ওম প্রকাশকে খুন করেছেন তাঁর স্ত্রী। অভিযোগ করলেন ওই দম্পতির ছেলে কার্তিকেশ। তাঁর দাবি, তাঁর মা পল্লবী মানসিকভাবে অসুস্থ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওম প্রকাশকে লক্ষ্য করে লঙ্কার গুঁড়ো ছেটানো হয়। তারপর ছুরি চালানো হয় শরীরে।   

ওম প্রকাশের পরিবার সূত্রে খবর, মানসিক অসুস্থতার কারণে পল্লবী খুব ভয়ে ভয়ে থাকতেন। মাঝে মাঝে হিংস্র হয়ে যেতেন তিনি। আশঙ্কা করতেন ওম প্রকাশ তাঁকে মারধর করবে। গুলি চালিয়ে খুনের চক্রান্তও করা হয়েছিল, এমন দাবিও করেছিলেন পল্লবী। সূত্রের খবর, মানসিক রোগের কারণে পল্লবী ভিত্তিহীন কথা বলতেন। তিনি কল্পনার জগতে বাস করতেন। যার সঙ্গে বাস্তবের কোনও যোগ ছিল না। 

কার্তিকেশের অভিযোগ অনুসারে, তাঁর মা পল্লবীর স্কিজোফ্রেনিয়া রয়েছে। গত ১২ বছর ধরে এই রোগে আক্রান্ত তিনি। কার্তিকেশের দাবি, 'আমার মা পল্লবী ও আমার  বোন ক্রথি দীর্ঘদিন ধরে ডিপ্রেশনের শিকার। তাঁরা দুজনেই বাবার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়তেন। মাঝে মাঝে তা মারাত্মক আকার নিত। মা ও বোন এই খুনের সঙ্গে জড়িত বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।' 

কার্তিকেশের আরও অভিযোগ, গত সপ্তাহেই পল্লবী তাঁর বাবাকে খুনের হুমকি দেন। বাড়িতে অশান্তি হচ্ছিল। তা থেকে বাঁচতে ওম প্রকাশ তাঁর বোনের বাড়ি চলে যান। যদিও তাঁর বোন গিয়ে ওম প্রকাশকে জোর করে বাড়ি নিয়ে আসেন। 

সংবাদসংস্থা PTI-এ প্রকাশিত খবর অনুসারে, পল্লবী তাঁর স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। খুনের পর এক বন্ধুকে ফোন করে তিনি বলেন, 'শয়তানটাকে শেষ করে ফেলেছি।' 

ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবারই পল্লবী ও তাঁর মেয়েকে আটক করে পুলিশ। দুজনকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওম প্রকাশের শরীরে একাধিক ক্ষত মিলেছে। তাঁর পাকস্থলী ও গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বেঙ্গালুরুর এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, 'ওম প্রকাশ বাড়ির মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন। তাঁর শরীর রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। প্রাথমিত তদন্তের পর অনুমান, মৃতের চেনাশোনা কেউ এই কাজ করেছে। কোনও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে ওম প্রকাশের।'       

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement