বিহারে মদ নিষিদ্ধ বেশ কয়েক বছর ধরে। সেই সুযোগে পড়শি রাজ্যে ভেজাল মদ সরবারহ করার অভিযোগ শিলিগুড়ির এক রাজ্যের শাসকদলেরই প্রাক্তন এই নেতার বিরুদ্ধে। বহুদিন ধরেই তার নামে অভিযোগ আসছিল। অবশেষে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওই নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিহারে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের দাবি, অভিযুক্তের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই এখন।
বিহারে মদ বন্ধের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ভেজাল মদের কারখানা খোলা এবং সেখান থেকে মদ তৈরি করে বিহার সহ ভিন রাজ্যে পাচারের অভিযোগ প্রাক্তন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে খবর আসার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিহার পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অবশেষে সোমবার রাতে শিলিগুড়ি হাকিম পাড়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত নেতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত প্রাক্তন তৃণমূল নেতার নাম বিশ্বজিৎ সরকার। সে শিলিগুড়ি সংলগ্ন বিধাননগরের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তৃণমুল কংগ্রেসের বিধাননগর ২য়ের অঞ্চল সভাপতি পদে ছিলেন। তার স্ত্রীও বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিকবার পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। মঙ্গলবার তাকে শিলিগুড়ি আদালতে তুলে সাতদিনের জন্য ট্রানজিট রিমান্ডে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে এর আগেও তার বিরুদ্ধে বিহারের বিভিন্ন থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে তার গ্রেফতারির পরই রাজনৈতিকমহলে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। যদিও বিশ্বজিতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে কোন সম্পর্ক ছিল না বলে জানিয়েছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা কাজল ঘোষ বলেন, "এক বছর আগেই তাকে অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলের সঙ্গে তার কোন সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথে চলবে।" শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (পূর্ব, জোন ১) জয় টুডু বলেন, "অভিযানে বিহার পুলিশকে সহযোগিতা করা হয়েছে। সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"