পরপর ২ বার সঙ্গম করতে চেয়ে 'বায়না' মহিলার, রেগে খুনই করে দিল যুবক

সঙ্গম করতে চেয়েছিলেন মহিলা। রাজি হয়নি যুবক। তা নিয়ে দুজনের মধ্যে শুরু হয় তুমুল বচসা। এরপর রেগেমেগে সেই মহিলাকে খুনই করে দিল যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা কর্নাটকের হাসান জেলার। খুনের পর দেহটি মাটির তলায় পুঁতে দিয়েছিল অভিযুক্ত। পুলিশ তা উদ্ধার করে। 

মৃতার নাম প্রীতি। দুই সন্তানের মা। ফেসবুকে তাঁর সঙ্গে আলাপ হয় পুনিতের। গত বৃহস্পতিবারই তাঁরা প্রথম কথা বলেন সমাজ মাধ্যমে। একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় ফোনে কথাবার্তাও। রবিবার তাঁরা দেখা করেন। সেদিনই প্রীতিকে মাইসুরুতে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যান পুনিত। সারাদিন ঘোরার পর একটা লজে ওঠেন তাঁরা। সেখানে সঙ্গম করেন। এরপর গাড়ি করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। 

কিন্তু প্রীতি ফের সঙ্গমের ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তাতে রাজি হয়নি পুনিত। সে অনিচ্ছার কথা জানায়। কিন্তু প্রীতি বিরক্ত করতে থাকেন পুনিতকে। এক সময় জোর জবরদস্তিও করেন। ততক্ষণে গাড়ি কেআর পেটে পৌঁছেছে। পুনিত এবার প্রীতিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কাঠেরাঘাটার জঙ্গলে যায়। সেখানে দুজনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। ওই মহিলা পুনিতের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। তখন মেজাজ হারায় সে। মাথায় আঘাত করে প্রীতির। সেখানেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে এবার একটি পাথর দিয়ে সজোরে আঘাত করা হয় প্রীতির মাথায়। মারা যাওয়ার পর দেহটি নিজের গ্রামের বাড়ি নিয়ে গিয়ে খামারে পুঁতে দেয় পুনিত।  

মান্ড্যর পুলিশ সুপার মল্লিকার্জুন জানিয়েছেন, প্রীতির স্বামী গত ২৩ জুন নিখোঁজ ডায়েরি করেন। প্রীতির ফোন নিজের কাছেই রেখেছিল পুনিত। সেই কারণে সে ধরা পড়ে। যদিও পুনিত প্রথমে নিজেকে ভাড়া গাড়ির চালক পরিচয় দিয়ে জানিয়েছিল, প্রীতি ফোনটি তার গাড়িতে ফেলে যান। তাই ফোন আছে তার কাছে। যদিও পরে সেই গ্রাম থেকে দেহ উদ্ধার হতেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসে। 

পুনিতকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, খুব অল্প সময়ের আলাপে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে সঙ্গম করেন। পুনিত খুনের কথা স্বীকারও করে নিয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।