শিলিগুড়িতে বিরিয়ানিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ছেলেকে কুপিয়ে খুন, পরে আত্মঘাতী বাবা

বিরিয়ানিতে ঘুমের ওষুধ। আর সেটা খাওয়ার পরেই ঘুমে আচ্ছন্ন সকলে। পরিবারের সকলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে হত্যা করে আত্মঘাতী বাবা। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৪ নং ওয়ার্ডের ভারত নগরে। শিলিগুড়ি বিধায়কের পাড়ায় এই ঘটনা ঘটায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

Advertisement
শিলিগুড়িতে বিরিয়ানিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ছেলেকে কুপিয়ে খুন, পরে আত্মঘাতী বাবা বিরিয়ানিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ছেলেকে কুপিয়ে খুন
হাইলাইটস
  • বিরিয়ানিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে ছেলেকে কুপিয়ে খুন
  • পরে আত্মঘাতী বাবা
  • তদন্ত শুরু পুলিশের

বিরিয়ানিতে ঘুমের ওষুধ। আর সেটা খাওয়ার পরেই ঘুমে আচ্ছন্ন সকলে। পরিবারের সকলকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে হত্যা করে আত্মঘাতী বাবা। এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৪ নং ওয়ার্ডের ভারত নগরে। শিলিগুড়ি বিধায়কের পাড়ায় এই ঘটনা ঘটায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ দেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতনগরের বাসিন্দা পার্থ রায়ের ছেলে সুভাষ রায় মানসিক সমস্যায় ভুগছে। দীর্ঘদিন থেকে ছেলের চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন তিনি। সম্প্রতি বহু টাকা ব্যয় করে কলকাতা থেকেও তাঁর চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করে আনেন পার্থ রায়। তবে ফের দু চার দিন ধরে একই সমস্যা শুরু হয় ছেলে সুভাষের। জানা গেছে মানসিক অবসাদের কারণে সুভাষ বাড়িতেও অশান্তি করত। যার জেরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পরিবারের সকলে। এরপরই বৃহস্পতিবার রাতে পরিবারের সকালের জন্য বিরিয়ানি নিয়ে আসেন পার্থ রায়। সেই বিরিয়ানিতে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে প্রত্যেককে খাইয়ে দেন পার্থ বাবু বলে অনুমান পরিবারের। এই বিরিয়ানি খেয়েই ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন পরিবারের সকলে। পুলিশের অনুমান, সেই সুযোগে পার্থ রায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘুমন্ত অবস্থাতেই খুন করেন তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে সুভাষ রায়কে। এরপরই তাঁকে হত্যা করেই নিজের শোবার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ঘুমের ওষুধের কারণে ঘুমে আচ্ছন্ন থাকায় এতবড় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেলেও তা কেউ টের পায়নি। আপাতত এমনটাই অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।

শুক্রবার সকালে পার্থ রায়ের স্ত্রীর ঘুম ভাঙলে দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছে তাঁর বড় ছেলে সুভাষ। তিনি চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুরু করলে সকলের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এরপরই তিনি তাঁর স্বামীর খোঁজ করতেই দেখেন পাশের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন স্বামী পার্থ রায়।  এই ঘটনা জানাজানি হতেই ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের পাড়ায় ঘটনা হওয়ায় খবর পেয়ে আসেন বিধায়ক।  পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, খুবই ভালো পরিবার। পরিবারের সকলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো ছিল। ছেলেকে নিয়ে একটু মানসিক চাপে ছিল পরিবার। তবে মানসিক অবসাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটতে পারে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement