গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। খুন করে মেয়ের বাপের বাড়ির লোকেদের ফোন করে খবর দিয়েই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত স্বামী ও তার পরিবারের লোকেরা।
বারুইপুরে গোলমাল, উত্তেজনা
ঘটনাটি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বারুইপুরের। পণের কারণেই তাঁদের মেয়েকে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার। ঘটনায় বারুইপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহত বধূর বাবা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক স্বামী সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
চার বছরের সংসারে তিন বছরের বাচ্চা আছে
বছর চারেক আগে বারুইপুরের সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা পেশায় ফল ব্যবসায়ী সরিফুল সর্দারের সাথে বিয়ে হয় মগরাহাটের বাসিন্দা সরফা খাতুনের। তাদের তিন বছরের একটি পুত্র সন্তানও আছে। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেব মোটর সাইকেল, সোনার গয়না ও নগদ টাকা দেওয়া হয়।
লাগাতার পণের চাপ, দাবিতে মারধর
বিয়ের তিন-চার মাসের মাথায় ফের টাকা দাবি করা হয়। টাকা না পেলেই মারধর করা হত বলে অভিযোগ। অগাস্ট মাসেও ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। ১৫ হাজার টাকা দিতে পারে মেয়ের বাবা। সরফার বাড়ির লোকজন বাকি টাকা না দেওয়ায় ব্যাপক মারধর করা হয় সরিফাকে।
শেষবার কথা হয় ভিডিও কলে
শেষ শনিবার ভিডিও কল করে বাড়িতে অসুস্থ থাকার কথা বলে। এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে যে কোনও কথা বলতে পারেনি। গতকাল রাতে সরিফুল সরফার বাবাকে ফোন করে বলে, আপনার মেয়ে বিছানায় শুয়ে আছে। উঠছে না। তারপর ফোন কেটে দেয়। তারপর প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সরফার খবর নিয়ে সীতাকুণ্ডতে গিয়ে সরফার পরিবারের লোকেরা দেখেন, বিছানায় শুয়ে আছে সরফা। তার গলায় ফাঁসের দাগ। বাড়িতে কেউ নেই। সবাই পালিয়ে গিয়েছে।