নয়ডাতে প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক নারায়ন সিংয়ের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে আয়কর বিভাগের কর্তাদের জ্ঞান হারানোর অবস্থা হয়েছে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা নগদ, সোনা এবং হীরের গয়না। যার সঙ্গে লকারে সোনার ইট, বিস্কুট পাওয়া গিয়েছে। এই গয়নার দাম আরও কয়েক কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে হীরে-মুক্তো-রূপো এবং সোনার অলংকার শামিল রয়েছে।
আয়কর বিভাগের দল একটি লকার বাজেয়াপ্ত করেছে। টাকা গুণতে গুণতে নোট গোনার মেশিন পর্যন্ত বিকল হয়ে পড়েছে। হয়রানির ব্যাপার হলো এটাই এই সমস্ত গয়না কোনও দাবিদার এখনও পর্যন্ত সামনে আসেনি। সোনার ইটের দাম প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে অন্যান্য গয়না আড়াই কোটি টাকার ওপর বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে আয়কর বিভাগের তল্লাশিতে নিয়ে প্রায় ৬ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নগদ টাকার হিসাব দেওয়ার জন্য কোনও দাবিদার এখনও পর্যন্ত ইনকাম ট্যাক্স এর সামনে আসেনি। যদিও এটি ব্ল্যাকমানি বলেই মনে করা হচ্ছে এবং আয়কর বিভাগ সরকারি কোষাগারে জমা করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে।
এর সঙ্গে গয়না, সরকারি সম্পত্তি হিসেবে বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে। আয়কর বিভাগ সোনার গয়না এবং সোনার বিস্কুট এর মত সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। যে প্রাক্তন আইপিএস এর ঘরে ৬৫০ টি লকার রয়েছে। যার মধ্যে ২০ টিসন্দেহজনক বলে মনে করা হচ্ছে। যার মধ্যে সম্প্রতি কয়েকটি লকার ভেঙে এই হিসেব এবং তথ্য সামনে এসেছে।
তিন দিন আগে আয়কর বিভাগের দল নয়ডা সেক্টর ৫০ এ, বাংলো নাম্বারে ৬ এ তল্লাশি চালায়। পুলিশের ডিজি অভিযোজন ১৯৮৩ ব্যাচের রামনারায়ন সিংয়ের বাংলোতে এবং তার স্ত্রী এবং ছেলে লকার ভাড়ায় দেন। গত পাঁচ বছরে এই সেফটি ভল্টে ভাড়া দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে। আইপিএস আধিকারিক রা জানিয়েছেন যে এটি তার বংশ পরম্পরায় ব্যবসা। তদন্তের সময় থেকে আরও কিছু জিনিস পাওয়া গিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন তাদের কেওয়াইসি পাওয়া যায়নি। যা নিয়ে সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাদের মালিকদের খোঁজখবর করা হচ্ছে।