কলকাতা পুলিশের পরিচয় দিয়ে সেক্স ব়্যাকেটে ফাঁসিয়ে দেওয়ার নামে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পেয়ে সক্রিয় হয় লালবাজারের সাইবারক্রাইম থানা। বুধবার গভীর রাতে সল্টলেকের টেকনো সিটি থানা এলাকার সাপুরজি হাউসিং কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত চার অভিযুক্তর মধ্যে একজন নাবালক বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চাইবে পুলিশ। অন্যদিকে, ধৃত নাবালক অভিযুক্তকে পেশ করা হবে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে।
ঠিক কী অভিযোগ
পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা এক ব্যক্তির কাছে কলকাতা পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার এক আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে ফোন আসে কিছুদিন আগে। তাঁকে জানানো হয়, একটি যৌন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে গিয়েছে ওই ব্যক্তির। এই মামলা থেকে তাঁর নাম সরাতে হলে বেশ ৩৬ হাজার টাকা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। টাকা না দিলে তাঁকে যৌন কেলেঙ্কারি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলেও ব্ল্যাকমেইল করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ওই ব্যক্তি মেল মারফত লালবাজারের সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সূত্রের খবর,অভিযুক্তরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অভিযোগকারী ওই ব্যক্তিকে একটি পেটিএম নম্বর পাঠিয়ে ছিল টাকা পাঠানোর জন্য। পুলিশ সুত্রে খবর, ওই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের ডিপি হিসেবে কলকাতা পুলিশের লোগো ব্যবহার করা হচ্ছিল।
ধৃত ৪ অভিযুক্ত
এরপর ওই পেটিএম অ্যাকাউন্ট এবং হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরের সূত্র ধরেই অপরাধীদের হদিস পায় সাইবার থানা। আইপি অ্যাড্রেস এবং মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্রাক করে জানা যায় বিধান নগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার সাপুরজি হাউসিং কমপ্লেক্সে থেকে এই চক্র চালানো হচ্ছে। অপরাধীদের গতিবিধি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরেই বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালানো হয়। একটি ফ্ল্যাটের ভেতর থেকেই গ্রেফতার করা হয় এক নাবালক সহ মোট পাঁচ জনকে। ধৃতরা প্রত্যেকেই বিহারের বাসিন্দা। বিহার থেকে কলকাতায় এসে সল্টলেকে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থেকে এই চক্র চালাচ্ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর।