scorecardresearch
 

মালদায় রিহ্যাব সেন্টারে যুবকের রহস্য মৃত্যু, পিটিয়ে খুনের অভিযোগ

ওই যুবকের নাম শওকত আলি। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার সদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের তালগ্রাম হাটের পশ্চিম পাড়ায়। নেশায় আসক্ত ওই যুবককে তুলসিহাটা এলাকার একটি রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ চিকিৎসার নামে মাদকাসক্ত যুবকদের মারধর করা হয় ওই রিহ্যাব সেন্টারে। এমনকি মারধরের মুখে নেশাগ্রস্ত যুবকদের চিৎকারের আওয়াজ ঢাকতে জোরে জোরে ডিজেও বাজানো হত সেখানে। দেওয়া হত না পর্যাপ্ত ওষুধ। ওষুধ চাইলে উলটে জুটতো বেধড়ক মারধর ও অশ্লীল গালিগালাজ। একইসঙ্গে রোগীদের আটকে রেখে পরিবারের থেকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করা হত বলেও অভিযোগ। 

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • নেশামুক্তি কেন্দ্রে রহস্য মৃত্যু
  • ময়নাতদন্ত ছাড়াই করা হল শেষকৃত্য
  • কাঠগড়ায় রিহ্যাব সেন্টার

নেশামুক্তি কেন্দ্রে যুবকের রহস্য মৃত্যু। পিটিয়ে খুনের অভিযোগ রিহ্যাব সেন্টারের কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda Harishchandrapur) থানার তুলসীহাটা এলাকার এক রিহ্যাব সেন্টারে। মৃত্যুর পর ওই যুবকের দেহ লোপাটের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। যদিও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে শেষপর্যন্ত দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। ওই রিহ্যাব সেন্টারের বিরুদ্ধে সরব স্থানীয় বাসিন্দা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
 
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম শওকত আলি। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার সদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েতের তালগ্রাম হাটের পশ্চিম পাড়ায়। নেশায় আসক্ত ওই যুবককে তুলসিহাটা এলাকার একটি রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ চিকিৎসার নামে মাদকাসক্ত যুবকদের মারধর করা হয় ওই রিহ্যাব সেন্টারে। এমনকি মারধরের মুখে নেশাগ্রস্ত যুবকদের চিৎকারের আওয়াজ ঢাকতে জোরে জোরে ডিজেও বাজানো হত সেখানে। দেওয়া হত না পর্যাপ্ত ওষুধ। ওষুধ চাইলে উলটে জুটতো বেধড়ক মারধর ও অশ্লীল গালিগালাজ। একইসঙ্গে রোগীদের আটকে রেখে পরিবারের থেকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করা হত বলেও অভিযোগ। 

অভিযোগ তেমনই মারধরের জেরে মৃত্যু হয় শওকত আলির। এরপর মৃতদেহ পরীক্ষার জন্য হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় রিহ্যাব কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেহ পরীক্ষা করে দেখার আগেই তা নিয়ে চম্পট দেয় তারা। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল তুলসিহাটায় তদন্ত করতে গেলে মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর তড়িঘড়ি মৃতদেহ পরিবারের লোকের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এমনকি মৃতের পরিবারকে প্রকাশ্যে মুখ না খোলার জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তার জেরে পুলিশে কোনওরকম অভিযোগ না জানিয়ে এবং ময়নাতদন্ত ছাড়াই দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে পরিবার। এই ঘটনায় নেশামুক্তির কেন্দ্রের কর্ণধারের একটি অডিও রেকর্ডিং-ও ভাইরাল হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 

Advertisement

ওই কেন্দ্রে চিকিৎসার নামে নির্যাতন চালান হত বলে অভিযোগ সেখান থেকে ছাড়া পাওয়া কয়েকজন রোগীরও। ঘটনায় ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপিও। অবিলম্বে ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্র বন্ধ করার দাবি জানিয়েছে তারা। একইসঙ্গে দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটনেরও দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন৩ বছর আগে ভালবাসার দিনেই রক্তাক্ত হয়েছিল পুলওয়ামা, তারপর? 

 

Advertisement