সেটাও ছিল এমনই একটা ভালবাসা উদযাপনের দিন। সালটা ছিল ২০১৯ (2019 Pulwma Attack)। কিন্তু একনিমেষে বদলে যায় গোটা ছবিটা।
ভালবাসার লাল গোলাপের পাপড়িতে নয়, বরং শহিদের রক্তে রাঙা হয়ে ওঠে ভূস্বর্গের পুলওয়ামার মাটি (Pulwama Attack)। আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয় ৪০ জন জওয়ানের। মুহূর্তের মধ্যে প্রেমদিবসের আনন্দ ঢেকে যায় শোকের চাদড়ে।
জানা যায়, সেইদিন আড়াই হাজারেরও বেশি সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ান নিয়ে জম্মু থেকে শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল কনভয়টি। মাঝপথে সেই কনভয়েই বিস্ফোরণ বোঝাই গাড়ি ঢুকিয়ে দেয় আদিল আহমেদ দার নামে এক জঙ্গি।
আরও পড়ুন - ভ্যালেন্টাইন ডে-তে করুন এই কাজগুলি, ঝগড়া ভুলে মজবুত হবে সম্পর্ক
আত্মঘাতী সেই হামলায় ঘটে যায় বিরাট বিস্ফোরণ। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় আকাশ। ইতিউতি ছড়িয়ে পড়ে জওয়ানদের ছিন্নভিন্ন দেহাংশ। পোড়া মাংসের ঝাঁঝালো গন্ধ মিশে যায় বাতাসে। চোখের জলে ভাসে গোটা দেশ।
এই হামলায় অভিযোগ ওঠে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের বিরুদ্ধে। প্রশাসনের একটা অংশ মনে করে গত ৩০ বছরে উপত্যকায় সবচেয়ে বড় হামলা ছিল পুলওয়ামার ঘটনা (Pulwama Attack Black Day)।
ঘটনায় পর অবশ্য চুপ করে বসে থাকেনি ভারত। পুলওয়ামার ঘটনার ঠিক ১২ দিন পরেই পাকিস্তানের বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক চালান হয়। ভারতের দাবি সেই হামলায় তছনছ হয়ে গিয়েছিল সীমান্ত সংলগ্ন জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিগুলি। মৃত্যু হয়েছিল সাড়ে তিনশোরও বেশি জঙ্গির। আর শুধু তাই নয়, সেই ঘটনার পর উপত্যকার নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করা হয়।
পুলওয়ামায় শহিদদের (Attack On CRPF In Pulwama) রক্ত আজও ভোলেনি গোটা দেশ। শহিদদের উদ্দেশ্যে সোমবার ট্যুইটারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
I pay homage to all those martyred in Pulwama on this day in 2019 and recall their outstanding service to our nation. Their bravery and supreme sacrifice motivates every Indian to work towards a strong and prosperous country.
— Narendra Modi (@narendramodi) February 14, 2022
অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ (NIA)। ইতিমধ্যেই চার্জশিট এবং সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটও পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা।