Malda TMC Leader Shot: মালদায় ফের শ্যুটআউট। এবারেও টার্গেট শাসক দলের নেতা। মঙ্গলবার কালিয়াচকের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখকে লক্ষ্য় করে গুলি চালায় দুই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। তাঁর সঙ্গে থাকা অপর দুই তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী হাসু শেখের। গুরুতর আহত অবস্থায় বাকি দু'জনকে(বকুল শেখ ও আসারউদ্দিন শেখ) মালদা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বকুল শেখের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ১ নম্বর ব্লকের নওদা যদুপুরের TMC অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ।
জানা গিয়েছে, এদিন মালদাতেই একটি রাস্তার কাজের শিলান্যাস করতে গিয়েছিলেন অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ। জায়গাটা বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে। তাঁর ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মীও সঙ্গে ছিলেন।
হঠাৎ সেখানে মোটরবাইক চড়ে দুই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী এসে পৌঁছায়। এরপরেই বকুল শেখ ও তাঁর সঙ্গীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, একেবারে কাছ থেকে একের পর এক গুলি চালানো হয়েছিল। গুলি করার পরেই পালিয়ে যায় দুই দুষ্কৃতী। ঘটনার আকষ্মিকতা কাটিয়ে তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন স্থানীয়রা ও তৃণমূল কর্মীরা।
দিনের আলোয় এভাবে প্রকাশ্যে শ্যুটআউটে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কালিয়াচকের নয়াবসতি এলাকায়। এর পিছনে কে বা কারা জড়িত তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আপাতত পুরো এলাকা কর্ডন করে রেখেছে পুলিশের বাহিনী।
প্রসঙ্গত, মাত্র ১২ দিন আগেই মালদা জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি দুলাল সরকারকে একই কায়দায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে টোটোর শোরুমে ঢুকেছিলেন তিনি। সেখানকার সিসিটিভি ক্যামেরায় খুনের দৃশ্য ধরা পড়ে। গত ২ জানুয়ারি এই ঘটনা ঘটে। তার আগে সপ্তাহ দুয়েক ধরে রীতিমতো রেইকি করেছিল আততায়ীরা। এখনও এই ঘটনায় সুপারি কে দিয়েছিল তা জানা যায়নি। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলির দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠাীকোন্দলের জেরেই প্রাণ হারাতে হয়েছে দুলাল সরকাররকে। তার রেশ কাটার আগেই মালদায় ফের শুটআউটের ঘটনা।