scorecardresearch
 

ফোনে OTP বললেন বেলুড়ের বাসিন্দা, মুহূর্তে ক্রেডিট কার্ডে ৫১ হাজার টাকা গায়েব!

অনলাইন প্রতারণার শিকার বেলুড়ের এক শপিং মলের কর্মী। ক্রেডিট কার্ড সংস্থার তরফে ফোন করে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নম্বর নিয়ে নেওয়া হয় ওই ব্যক্তির কাছে। ফাঁদে  পা দিয়ে প্রতারকদের সেই নম্বর দিয়েও দেন ওই ব্যক্তি। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা নিয়ে নেয় প্রতারকা।

Advertisement
প্রতারণার শিকার। প্রতারণার শিকার।
হাইলাইটস
  • ভুয়ো ফোনে OTP বলে বিপাকে বেলুড়ের বাসিন্দা
  • হারালেন ৫১ হাজার টাকা
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

অনলাইন প্রতারণার শিকার বেলুড়ের এক শপিং মলের কর্মী। ক্রেডিট কার্ড সংস্থার তরফে ফোন করে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের নম্বর নিয়ে নেওয়া হয় ওই ব্যক্তির কাছে। ফাঁদে  পা দিয়ে প্রতারকদের সেই নম্বর দিয়েও দেন ওই ব্যক্তি। কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা নিয়ে নেয় প্রতারকা। বিষয়টি বুঝতে পেরে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতারিত ওই ব্যক্তি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

কীভাবে প্রতারণা?

অনলাইন ক্রেডিট কার্ডের ওটিপি দিয়ে ৫১ হাজার টাকা খোয়ালেন বেলুড়ের এক শপিং মলের এক কর্মী। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ ভুয়ো ক্রেডিট কার্ড সংস্থার পক্ষ থেকে বেলঘড়িয়া নিমতার বাসিন্দা সুশান্ত সাহার কাছে ফোন আসে। সেখানে বলা হয়, সুশান্তবাবুর ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া পয়েন্টের ভিত্তিতে প্রায় ১০ হাজার ১০০ টাকা জমা আছে এবং সেটি তিনি পেতে পারেন বলে জানানো হয়।

তারপর নানা কথায় জালে তাঁকে জড়িয়ে সুশান্তবাবুর ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের নম্বর নিয়ে নেন প্রতারকরা। এর পরেই ওটিপির নম্বর হাতিয়ে ৫ বার প্রায় মোট ৫১ হাজার টাকা উঠিয়ে নেয় প্রতারকেরা। কিন্তু সুশান্তবাবু ব্যাপারটা যখন বুঝতে পারেন বিষয়টা, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে গেছে। এর পরেই তিনি সেই সংস্থাকে ফোন করলে ফোন বন্ধ পান। নিরুপায় হয়ে বেলুড় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কেও জানানো হয়েছে। 

বারবার এমন ঘটনা

তবে এই ঘটনা, এবারই প্রথম নয়। এর আগেও ব্যাঙ্কের কর্মীর পরিচয় দিয়ে কিংবা ক্রেডিট কার্ডের সংস্থার কর্মীর পরিচয় দিয়ে জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রত্যেক ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। অনেক সময়ের ব্যাঙ্কের তরফ থেকে অ্যালার্ট মেসেজ দেওয়া হয়ে থাকে। সেখানে বলা হয়, ব্যাঙ্কের কোনও কর্মী কখনও কার্ডের নম্বর, ওটিটি কিংবা এটিএমের সিভিভি নম্বর জানতে চায় না। কিন্তু তারপরেও একের পর এক অনলাইন প্রতারণার ঘটনা হয়ে চলেছে। সদ্য ঘটে যাওয়া বেলুড়ের ঘটনা তারই প্রমাণ।

Advertisement

Advertisement