স্বামীর অদ্ভুত যৌন ইচ্ছের জন্য ঘৃণ্য ঘটনার শিকার স্ত্রী, জ্ঞান ফিরতেই দেখলেন...

ব্যক্তি নিজের শখ পূরণ করার জন্য স্ত্রীয়ের (Wife) সঙ্গে এমন ঘৃণ্য ঘটনা ঘটায় যা জানলে যে কেউ হতভম্ব হয়ে যাবে। সিঙ্গাপুরের এই ব্যক্তির নিজের স্ত্রীকে অন্য পুরুষকে দিয়ে ধর্ষণ করানোর ঘটনা সামনে এসেছে। তার শখ ছিল নিজের স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌনভাবে লিপ্ত থাকতে দেখা। সে জন্য ওই ব্যক্তি তার এক সহকর্মীকে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য বাড়িতে ডেকে নিয়ে আসে। ব্যক্তির স্ত্রী বুঝতেও পারেনি যে তার স্বামী (Husband) তাকে ধর্ষণ (Rape) করাতে চেয়েছিল।

২৩ বছরের বিবাহিত জীবন দম্পতির, রয়েছে সন্তানও

পুরো ঘটনাটি সিঙ্গাপুরের (Singapore)। এই দম্পতি ২৩ বছর ধরে বিবাহিত (Married) এবং তার তিনটি সন্তান (Children) রয়েছে। কিন্তু স্বামী ২৩ বছরের দীর্ঘ সম্পর্কের সমস্ত বিশ্বাস এক রাতেই ভেঙে চুরচুর করে দেয়। সে আর তার বন্ধু মিলে স্ত্রীকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে। দু'বছর পর, সুযোগ পেলে, ৪৮ বছর বয়সী স্বামী তার ৪৫ বছরের বন্ধুকে তার স্ত্রীয়ের শোওয়ার ঘরে আমন্ত্রণ জানায়।

স্ত্রীয়ের সঙ্গে সেই রাতে যা করে

ব্যক্তি তার স্ত্রীকে মদ্যপান (Alcohol) করিয়ে দেয়। দু'জনে যখন বেডরুমে ঢোকে, তখন ওই ব্যক্তির ৪৪ বছর বয়সী স্ত্রী চোখ বেঁধে অচেতন অবস্থায় পড়ে ছিলেন। অজ্ঞাত ব্যক্তিটি ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করতেই তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে, লোকটি সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায়।

শাস্তি ঘোষণা 

সিঙ্গাপুরের হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার ব্যক্তির সহকর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। বর্তমানে মহিলার স্বামীকে ষড়যন্ত্র ও ধর্ষণের চেষ্টা করার জন্য তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন, ৬১ এর অশীতিপরকে বিয়ে করলেন ২৪ এর যুবক, Live টেলিকাস্ট হলো বিয়ে

মামলার শুনানি

মামলার শুনানিতে হাইকোর্টে বলা হয়, ২০১৫ সালে দু'জনেই সহকর্মী হন। ওই ব্যক্তি তার সহকর্মীর সঙ্গে তার যৌনজীবন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় শেয়ার করতেন। সে জানায়, অন্য একজন পুরুষকে তার স্ত্রীর সঙ্গে সেক্স করতে দেখতে চান।

স্বামী তার সহকর্মীকে তার স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের জন্য প্ররোচিত করে এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭-তে তাকে তার বাড়িতে আমন্ত্রণ জানায়। প্রথমে অজ্ঞান স্ত্রীকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয় স্বামী। এরপর স্বামী তার বন্ধুকে স্ত্রীর কাছে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। সেদিন মহিলার সন্তানরা ও তাদের খেয়াল রাখার 'ন্যানি' অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিল।

জোরপূর্বক ওই মহিলার সঙ্গে সেক্স করতে চাইলে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মহিলা চেতনা ফিরে পান এবং চোখ বন্ধ করার চেষ্টা করেন যখন তিনি বুঝতে পারেন যে একজন অচেনা পুরুষ তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে। এটা দেখে লোকটা পালিয়ে যায়, পরে জানা যায় ওই ব্যক্তির ইরেক্টাইল ডিসফাংশন ছিল। কোনওভাবে ওই মহিলা ব্যক্তিটিকে খুঁজে পেয়ে তার স্বামী ও তার বন্ধুকে স্বীকারোক্তিমূলক চিঠি লিখতে বাধ্য করেন।

তারপর যা হল....

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে ২ জানুয়ারি ২০২০-তে, অন্য একজন মহিলা তাঁর স্বামীর ফোনে অন্তরঙ্গ ছবি পাওয়ার পরে পুলিশে রিপোর্ট দায়ের করেন এই সন্দেহ করে যে তিনি এবং আরও কয়েকজন তার বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ করেছেন। এরপর গ্রেফতার করা হয়েছে ওই মহিলার স্বামীকে। এ সময় এই মহিলার স্বামীও বিচারের আওতায় আসেন।

অভিযুক্তদের ১০ জানুয়ারি, ২০২০-তে গ্রেফতার করা হয়। ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর চি ই লিং তার স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্তের জন্য আড়াই থেকে সাড়ে তিন বছরের জেল দাবি করেছেন। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী নকুরশা আব্দুল কাদির বলেন, তার মক্কেল স্বীকারোক্তিমূলক চিঠি লিখেছে, তাই তার সাজা দুই থেকে আড়াই বছরের জন্য রাখা উচিত।