Malda Firing Tmc Party Office: ভোটের আগে উত্তপ্ত গৌড়বঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীর জোড়া সভার আগে গুলি চলল মালদায় (Malda Fire)। আক্রান্ত শাসকদলের কর্মীরাই। মালদার কালিয়াচকে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা জানা যায়নি এখনও। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।কালিয়াচক থানার (Kaliachwak) আইসি সংবাদাধ্যমকে জানিয়েছেন সুমন রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত রয়েছে, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে মুখে কাপড় বাঁধা দুজন যুবক আচমকা তৃণমূলের কালিয়াচক থানার আকন্দবাড়িয়া এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল পার্টি অফিসে ঢুকে পড়ে। সেখানে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে।ওই সময় কার্যালয়ে থাকা দুই কর্মীর গুলি লাগে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। গুলি চালানোর উদ্দেশ্য ওই দুই কর্মীই ছিল, না কি, এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো ছিল, তা নিয়ে ধন্দে পার্টি কর্মীরাই। শুধু গুলি চালানোই নয়, ধারালো অস্ত্র দিয়েও আঘাত করা হয় ওই দুই কর্মীকে। ঘটনায় জখম হয়েছেন উজ্জ্বল মণ্ডল ও পঙ্কজ মণ্ডল নামে দুজন তৃণমূল কর্মী।
এ নিয়ে কালিয়াচকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মোস্তাক হোসেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাতে আনুমানিক সাড়ে ১০টা নাগাদ তৃণমূলের পার্টি অফিসে ছিল দুই তৃণমূল কর্মী উজ্জ্বল মণ্ডল ও পঙ্কজ মণ্ডল। ঠিক সেই সময় আচমকা পার্টি অফিসে ঢুকে পড়ে দুজন দুষ্কৃতী। দুজনেই মুখে কাপড় বেঁধে রেখেছিল। তারা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই তৃণমূল কর্মীকে জখম করে পালিয়ে যায়। আমরা পুলিশকে সব জানিয়েছি। ভোটের আগে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিরোধীরা বলে তৃণমূলের ধারণা।
রাজ্যে মালদা বিশেষ করে কালিয়াচক বারবার রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক উত্তাপে জ্বলেছে। বিভিন্ন ইস্যুতে শিরোনামে এসেছে এলাকা। কালিয়াচকে জাল নোট, গরু পাচারের মতো ঘটনা নিয়ে গত কয়েক বছরে উত্তপ্ত হয়েছে এলাকা। আর মাত্র কয়েকদিন পরে ভোট। তার আগে রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর জোড় সভা করার কথা রয়েছে মালদায়। এর মধ্যে বৈষ্ণবনগর বিধানসভায় গুলি চালানোর ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে।