হাঁসখালিকাণ্ডে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই নাবালিকার শেষকৃত্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতার বাবার মতে, ৫ এপ্রিল ভোরে তাঁর মেয়ে মারা যাওয়ার বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন তাঁরা। খবর পেয়ে কয়েকজন প্রতিবেশী সেখানে পৌঁছায়। এরপর তারাই দেহটি গ্রাম থেকে ২০০ মিটার দূরে একটি শ্মশানে নিয়ে যায়।
সেই শ্মশানে পৌঁছায় ইন্ডিয়া টুডের টিমও। সেখানে গিয়ে দেখা গেল শ্মশানে কোনও অফিস ঘর নেই। করুণা বাওলি নামে এক বয়স্ক মহিলা জায়গাটির দেখভাল করেন। তিনি জানান, ওইদিন সকালে দেহটি নিয়ে ১২ জন শ্মশানে পৌঁছায়। দেহটা কাপড়ে ঢাকা ছিল। তারাই দেহের শেষকৃত্য করে। শ্মশানটি ২০১৫ সালে তৈরি হয়েছিল। স্থানীয় গ্রামবাসীরা সেখানে প্রায়শই মৃতদেহ দাহ করতে নিয়ে যান। ইন্ডিয়া টুডের টিম সেখানে একটি অর্ধ নির্মীত মন্দির ও কিছু ছাই ও ২টি পোড়া কাঠ দেখতে পায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই ঘটনার পর থেকে শ্মশানের দায়িত্বে থাকা কমিটির কোনও খোঁজ নেই। এবার প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে ২০১৫ সাল থেকে এখানে বেআইনিভাবে দাহ পদ্ধতি চলছে?
এই ঘটনায় বেআইনি শ্মশান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্টও। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, 'কেস ডেয়ারির তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। মেডিক্যাল ও আইনি সার্টিফিকেট এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অভাব সন্দেহ তৈরি করছে। রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলছেন, গ্রামে কোনও শ্মশান নেই। যদিও এই তথ্য সঠিক বলে মনে হচ্ছে না। কারণ কেস ডেইরি বলছে, নাবালিকার শেষকৃত্য হয়েছিল শ্যামনগরের আতিরপুর শ্মশানে।'
এদিকে পুলিশ সূত্রের খবর, জিজ্ঞাসাবাদে তাদের বাড়ির কোন ঘরে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে তা জানিয়েছে ব্রজ গয়ালি। ইতিমধ্যেই ওই ঘর থেকে একটি বিছানার চাদর উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে রক্তের দাগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। সূত্র মারফৎ আরও জানা গিয়েছে যে, শ্মশানের ছাই থেকে তিনটি ছোট ছোট হাড় সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই নমুনাগুলি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন - আজানের সময় মাইকে তারস্বরে হনুমান চালিশা, এবার কাশীতেও