সারা ডেভিস (Sarah Davies) নামে ব্রিটেনের এক মহিলা নিজের প্রেমিকের সঙ্গে যা করেছে তা জানলে যে কেউ হতবাক হয়ে যাবেন। সে শুধু তার প্রেমিককে অপরহরণ করে ১২ ঘণ্টা রাখেইনি, তাঁর ওপরে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারও চালিয়েছে। সারা মুখের সৌন্দর্য বাড়াতে বোটক্স চিকিৎসা করিয়েছিল ওই মহিলা। কিন্তু তার প্রেমিক তাকে টাকা না দেওয়ার ক্ষিপ্ত ছিল সারা।
৩ সন্তানের মা সারা ডেভিসের সঙ্গে ছিল মার্ক কেনেডি (Mark Kennedy) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। সম্প্রতি লিপ বোটক্স ট্রিটমেন্ট (Botox Treatment) করিয়েছিল সারা। আর তার জন্য কেনেডি টাকা দেবেন, এমনটাই চেয়েছিল সারা। কিন্তু কেনেডি তা না করায় রেগে যায় সারা, আর তারপরেই ছকে ফেলে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র।
ডেলি মেলের তথ্য অনুযায়ী, কেনেডির বিরুদ্ধে তার ২ বছরে সন্তানের শ্লীলতাহানির অভিযোগ আনে সারা। আর শুধু তাই নয়, কেনেডিকে অপহরণ করে এই কথা তাঁকে দিয়ে স্বীকারও করাতে চায়। অপহরণের পর ১২ ঘণ্টা ধরে কেনেডির ওপরে অত্যাচার চালান হয়। তাঁর মাথায় গরম জল ঢালা, লাঠি দিয়ে মারা এবং হাতে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে দেওয়া হয় গলা কেটে প্রাণে মেরে ফেরা হুমকিও। এই গোটা ঘটনায় সারার সঙ্গে ছিল তার এক পুরুষ বন্ধুও। সে কেনেডিকে মুক্তি দিতে তাঁর মায়ের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে।
৬ বছরের সাজা
এরপর কোনওভাবে সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে সরাসরি পুলিশের দ্বারস্থ হয় কেনেডি এবং গোটা বিষয়টি জানান। মামলাটি আদালতেও পৌঁছায়। আদালত কেনেডির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে এবং সারা ও তার বন্ধুকে ৬ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন - কীভাবে নামকরণ হয়েছিল Air India-র? চিঠি প্রকাশ করল Tata
জান গিয়েছে, গতবছর ফেসবুকে কেনেডি ও সারার পরিচয় হয়। তারপরেই শুরু হয় একসঙ্গে থাকা। এরইমাঝে বড়সড় পৈতৃক সম্পত্তি পাওয়ার কথা ছিল কেনেডির। আর সেই টাকাই আত্মসাতের চেষ্টা করে সারা। কেনেডি আগেও একাধিকবার সারাকে টাকা দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও দিনদিনই বাড়তে থাকে সারার চাহিদা। আর তারপরেই কেনেডিকে অপহরণ করে সারা।