scorecardresearch
 

একটা ভিডিওকলে ছারখার জীবন! Sextortion-এ জড়িত গোটা গ্রাম, তদন্তে চাঞ্চল্য

সেক্সটরশন এক ধরনের মধু ফাঁদ। সাইবার প্ল্যাটফর্মে পুরুষদের ফাঁদে ফেলতে ব্যবহার করা হয় নারীদের। হোয়াটসঅ্যাপে অচেনা ভিডিও নম্বর থেকে আসে ভিডিও কল। যে কলে দেখা দেয় নগ্ন মহিলাকে। কথা বললেই ফাঁদে পড়ে যান সেই পুরুষ। কখনও আবার ওই পুরুষের একটি ছবি বিকৃত করে ভিডিও করা হয়। তার পর শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। প্রতারকরা ভিডিওটি ভাইরাল করার হুমকি দেয়। টাকা দিলেও ব্ল্যাকমেলিংয়ের এই পর্ব এখানেই শেষ হয় না। বরং চলতেই থাকে। এই পুরো 'খেলা'কে সেক্সটরশন বলা হয়।

Advertisement
ক্রমাগত বাড়ছে সেক্সটরশনের ঘটনা। ক্রমাগত বাড়ছে সেক্সটরশনের ঘটনা।
হাইলাইটস
  • সেক্সটরশন এক ধরনের মধু ফাঁদ।
  • সাইবার প্ল্যাটফর্মে পুরুষদের ফাঁদে ফেলতে ব্যবহার করা হয় নারীদের।
  • রাজস্থানে প্রায় গোটা গ্রাম এই ধরণের সাইবার অপরাধে জড়িত।

গত কয়েক মাস ধরে প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক 'সেক্সটরশন'-এর ঘটনা। এই শব্দের সঙ্গে অনেকেই পরিচিক নন। তবে পরিচিতদের বাঁচাতে এই নতুন ধরনের অপরাধ সম্পর্কে জানাটা জরুরি। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজস্থানে প্রায় গোটা গ্রাম এই ধরণের সাইবার অপরাধে জড়িত।

সেক্সটরশন কী?

সেক্সটরশন এক ধরনের মধু ফাঁদ। সাইবার প্ল্যাটফর্মে পুরুষদের ফাঁদে ফেলতে ব্যবহার করা হয় নারীদের। হোয়াটসঅ্যাপে অচেনা ভিডিও নম্বর থেকে আসে ভিডিও কল। যে কলে দেখা দেয় নগ্ন মহিলাকে। কথা বললেই ফাঁদে পড়ে যান সেই পুরুষ। কখনও আবার ওই পুরুষের একটি ছবি বিকৃত করে ভিডিও করা হয়। তার পর শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। প্রতারকরা ভিডিওটি ভাইরাল করার হুমকি দেয়। টাকা দিলেও ব্ল্যাকমেলিংয়ের এই পর্ব এখানেই শেষ হয় না। বরং চলতেই থাকে। এই পুরো 'খেলা'কে সেক্সটরশন বলা হয়।

রাজস্থান থেকে ২৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুণে পুলিশ। সেক্সটরশন সংক্রান্ত একটি মামলায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুণের ১৯ বছর বয়সী এক যুবক সেক্সটরশনের শিকার হয়েছে করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রতারকরা ক্রমাগত ব্ল্যাকমেল ও হয়রান করছিল ওই যুবককে। গত সেপ্টেম্বরে আত্মহত্যা করেছেন  ওই যুবক। প্রতারকদের ৪৫০০ টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ব্ল্যাকমেলিং থামেনি। 

দত্তওয়াড়ি থানার সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর অভয় মহাজন বলেন,'এই মামলার তদন্তে আমরা রাজস্থানের আলওয়ারের গোথরি গুরু গ্রামে পৌঁছে আনোয়ার সুবান খানকে গ্রেফতার করি। তদন্তে দেখা গিয়েছে, পুরো গ্রামে সেক্সটরশনের র‌্যাকেট চলছিল। যার মাস্টারমাইন্ড আনোয়ার৷।'

পুলিশ তদন্তে জানা গিয়েছে, গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ ও মহিলা অনলাইন সেক্সটরশনের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সাইবার পুলিশ আধিকারিকদের মতে,চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত পুণেতে মোট ১৪৪৫টি মামলা হয়েছে। সাইবার অপরাধীরা পুরুষদের টার্গেট করতে মহিলাদের ব্যবহার করে৷

Advertisement

অপরাধীরা ইনস্ট্যান্ট মেসেজ প্ল্যাটফর্মে লক্ষ্য খুঁজে পায়। আকর্ষণীয় ডিপি ব্যবহার করা হয় ফাঁদে ফাঁসানোর জন্য। সাইবার পুলিশ সতর্ক করেছে, অজানা ভিডিও কল বা বার্তার উত্তর দেবেন না। 

সেক্সটরশন কী?
সেক্সটরশন কী?

আপনি অপরাধের শিকার হলে কী করবেন? 

অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ অসম্মানের ভয়ে কারও কাছে এ সব কথা প্রকাশ করেননি। পুলিশের কাছেও যেতে চান না। এই সুযোগটাই নেয় অপরাধীরা। ভিডিও দেখার পর কোনওক্রমে নিস্তার পেতে চান। সেজন্য টাকা দিতেও কুণ্ঠিত হন না। অনেকে ভয় নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও ডিলিট করে দেন। এই ধরনের ঘটনায় ফেঁসে গেলে মাথা ঠান্ডা রাখুন। পুলিশে অভিযোগ করুন। আর অজানা নম্বর থেকে কল ও মেসেজ আসলে গ্রহণ করবেন না। 

আরও পড়ুন- ক্যানসারের বাহক, অবিলম্বে রান্নাঘর থেকে সরান এই ৪ জিনিস

Advertisement