বেসরকারি একটি প্লে স্কুলের টয়লেটের বাল্ব হোল্ডারে লুকনো গোপন ক্যামেরা। ২৪ ঘণ্টা অন রাখা হত ক্যামেরা। চলত লাইভ স্ট্রিমিং। উত্তরপ্রদেশের নয়ডার এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, ফেজ-৩ থানা এলাকার একটি প্লে স্কুলের টয়লেটের বাল্ব হোল্ডারে গোপন ক্যামেরা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় স্কুলের ডিরেক্টরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওই প্লে স্কুলের এক শিক্ষিকা পুলিশকে জানান, ১০ ডিসেম্বর তিনি স্কুলের শৌচাগারে গেলে বাল্ব হোল্ডারে সন্দেহজনক কিছু দেখতে পান। সেখানে একটি স্পাই ক্যামেরা লাগানো ছিল। স্কুলের ডিরেক্টরকে এই বিষয়ে জানালে তিনি কোনও ব্যবস্থা নেননি। পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযোগকারী শিক্ষিকা দাবি করেছেন, তিনি যখন নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে কথা বলেন, তাঁরা জানান এই ক্যামেরাটি ডিরেক্টর নিজেই বসান।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে সহায় অনলাইনে এই স্পাই ক্যামেরা থেকে আনানো হয়েছিল। এর পর তাঁকে গ্রেফতার করে মামলা করা হয়েছে। ওই পুলিশ আধিকারিক বলেন, স্কুল শিক্ষকও দাবি করেছেন, এর আগেও তিনি স্কুলের শৌচাগারে একটি স্পাই ক্যামেরা পেয়েছিলেন, তিনি তা ডিরেক্টরকে দিয়েছিলেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত প্লে স্কুলের ডিরেক্টর জানান, তিনি একটি ভাড়া করা ঘরে প্লে স্কুল চালাতেন। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে এই স্কুলটি শুরু করেছিলেন। ২২০০ টাকায় অনলাইনে একটি গোপন ক্যামেরা অর্ডার করেছিলেন, যাতে কোনও ধরনের রেকর্ডিং ছিল না, কখনও কখনও এটি লাইভ দেখতেন। বাল্ব হোল্ডারে সে-ই গোপন ক্যামেরা লাগিয়েছিল তা অভিযুক্ত নিজেই স্বীকার করে।
গত নভেম্বরে উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্র থেকেও একই রকম একটি ঘটনার কথা জানা গেছে। এখানকার একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্রীদের বাথরুমের কাছে গোপন ক্যামেরা পাওয়া গেলে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত নাবালক। ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং অন্যান্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে হেফাজতে নিয়ে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হয়েছে।