Agni-5 ICBM: আজ পরীক্ষা করা হতে পারে ভারতের পরমাণু শক্তিসম্পন্ন আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র অগ্নি-৫ (Agni-5 ICBM)। আর তাই অনেকে সমীহ করতে শুরু করেছে। চিন-সহ আরও কয়েকটি দেশ এর ওপর খেয়াল রাখছে। তাদের ভ্রু কুচকে গিয়েছে।
ভারতের পক্ষে একটা দারুণ খবর হল ইতিমধ্যে অগ্নি-৫- (Agni-5 ICBM)এর পরীক্ষা ৭ বার হয়ে গিয়েছে। চিন কেন অসন্তুষ্ট? এর কারণ ভারতের শক্তিবৃদ্ধির। অগ্নি-৫-এর রেঞ্জের মধ্যে পুরো চিন চলে আসছে।
ডিআরডিও (DRDO) এবং ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড যৌথ ভাবে অগ্নি- (Agni-5 ICBM-কে তৈরি করেছে। বলা হচ্ছে, এই ক্ষেপনাস্ত্রের রেঞ্জ ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার কিলোমিটার। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্য়মে এ ব্যাপারে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে চিন-সহ আরও কয়েকটি দেশের বক্তব্য, ভারত সরকার মিসাইলের রেঞ্জের ব্য়াপারে ঠিক তথ্য জানায়নি।
এর রেঞ্জ কত, তা নিয়ে কোনও সমস্যা নয়। বাকি দেশগুলির সমস্যা হল তাদের দেশের পুরো অংশ চলে আসছে অগ্নি-৫ (Agni-5 ICBM)-এর রেঞ্জের মধ্য়ে।
এবার একটি জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি ভারতের পরমাণু শক্তিসম্পন্ন আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপনাস্ত্র অগ্নি-৫-এর ব্য়াপারে কিছু তথ্য। এর ওজন ৫০ হাজার কিলোগ্রাম। এটি ১৭.৫ মিটার লম্বা। এর ব্য়াস ২ মিটার অর্থাৎ ৬.৭ ফুট।
এটি দেড় হাজার কেজি পরমাণু বোমা বহম করতে পারে। এতে রয়েছে তিন স্টেজের রকেট বুস্টার। যা সলিড ফুয়েলের সাহায্যে ওড়ে। এর গতিবেগ শব্দের থেকে ২৪ গুণ বেশি। মানে এটি সেকেন্ডে ৮.১৬ কিলোমিটার গতিবেগে ছুটে যায়।
এটি প্রতি ঘণ্টায় ২৯ হাজার ৪০১ কিলোমিটার গতিবেগে শত্রুর ওপর হামলা চালাতে সক্ষম। এর মধ্যে রিং লেজার জাইরোস্কপ ইনার্শিলায় নেভিগেশন সিস্টম, জিপিএস, ন্যাভআইসি স্যাটেলাইট গাইডেন্স সিস্টেম লাগানো রয়েছে।
এর আরও একটি বড় গুণ হল লক্ষ্যভেদে এর কার্যকারিতা। নিশানায় বিলকুল ঠিক ভাবেআঘাত হানে অগ্নি। তবে কোনও কারণে তা থেকে সরে গেলে তা ১০ থেকে ৮০ মিটার হতে পারে। তবে এই ফারাক কোনও ক্ষেপনাস্ত্রের ঘাতক ক্ষমতা বদলায় না।
এটি লঞ্চ করার জন্য মাটিতে থাকা মোবাইল লঞ্চারের ব্যবহার করা হয়। এটা ট্রাকে নিয়ে রাস্তা থেকে যে কোনও জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে।